আর্জেন্টিনায় হিগুয়েইনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে: বাতিস্তুতা
বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার ফাইনালে সহজ সুযোগ মিস করায় আর্জেন্টিনায় বেশ সমালোচিত গঞ্জালো হিগুয়েইন। তাই বেশ তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই আগের দিন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তবে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সাবেক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। আর্জেন্টিনায় তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৭৫টি ম্যাচ খেলে ৩১টি গোল দিয়েছেন হিগুয়েইন। দেশের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ গোলদাতাও বটে। এমনকি আর্জেন্টিনার সবশেষ হ্যাটট্রিকটিও করেছেন তিনিই। তিনি ছাড়া এ কীর্তি গড়েছেন আর মাত্র দুই আর্জেন্টাইন। কিন্তু তারপরও নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচিত এ খেলোয়াড়। মূলত ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেই ভিলেন বনে গেছেন তিনি।
তবে দুঃসময়ে বাতিস্তুতাকে পাশে পেয়েছেন হিগুয়েইন। তার সম্পর্কে বাতিগোল খ্যাত এ সাবেক তারকা বলেছেন, 'আমার দৃষ্টিতে সে একজন মহান স্ট্রাইকার। সে পৃথিবীর সব জায়গায় সম্মান পেয়েছে, কিন্তু আর্জেন্টিনায় তার সঙ্গে খুব বাজে আচরণ করা হয়েছে। ব্যাপার হচ্ছে একজন স্ট্রাইকার হয়তো ২০০ গোল মিস করবে, কিন্তু আসল মুহূর্তে এক, দুই বা তিন গোল করবে। কয়েকটি গোলের জন্যই আজীবন তাদের সবাই মনে রাখবে। যে গোল করেনি সেগুলো নয় বরং সে যে গোলগুলো করেছে তার জন্যই তাকে মনে রাখা উচিত।'
কিন্তু হিগুয়েইন যে মিস করেছেন তাতে শিরোপাই হাতছাড়া করেছে আর্জেন্টিনা। তাতে ২৬ বছর যাবত শিরোপা খরায় ভুগছে দেশটি। তাই তাকে ক্ষমা করতে পারেনি আর্জেন্টাইন ভক্তরা। আর্জেন্টিনার হয়ে তার করা গোলগুলোর সবই গুরুত্ব হারিয়েছে ওই ফাইনালের মিসগুলোর কারণে। এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন বাতিস্তুতা, 'সে ভুল সময়ে তিনটি মিস করেছে। আর্জেন্টিনাতে তাকে ওভাবেই মনে রাখবে। অথচ গত কয়েক বছরে সে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার।’
আগের দিন আগের দিন ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অবসরের কথা জানান হিগুয়েইন, ‘অনেক চিন্তা ভাবনার পর দেখলাম আমার সময় আসলে শেষ। আমি পরিবারকে সময় দিতে চাই, জীবন উপভোগ করতে চাই। এই সিদ্ধান্তে হয়ত অনেকেই খুশি হবে, আবার সবার একরকম নাও লাগতে পারে, তবে আমার সময়টা আসলে ফুরিয়ে এসেছে। আমি দলে আছি কি নেই, সেটা নিয়ে এখন আর আপনাদের চিন্তা না করলেও চলবে।’
Comments