পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে মধুর বিড়ম্বনায় অস্ট্রেলিয়া
ভারতকে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারানোর পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েও দাপট অস্ট্রেলিয়ার। আরেকটি বিশ্বকাপ আসতে রাজার মতই আধিপত্য দেখিয়ে পাকিস্তানকে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে দাঁড়াতেই দেয়নি। তবে পাকিস্তানিদের ৫-০ তে হোয়াইটওয়াশ করার পর বিশ্বকাপের আগে একটা মধুর সমস্যাও যে বেড়েছে অসিদের।
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নারের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কদিন আগেই শেষ হয়েছে। এই সিরিজে না খেললেও বিশ্বকাপের জন্য দুই বড় তারকা পুরোপুরিই তৈরি। কিন্তু তারা যে দুই পজিশনে খেলেন সেখানে যে রান ফোয়ারা বইয়ে দিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ, উসমান খাওয়াজা, মিচেল মার্শ, গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলরা।
শুরুতে দেখা যাক ওপেনিং। ওয়ার্নার ফিরলে নিশ্চিতভাবেই প্রথম পছন্দের ওপেনার তিনিই। কিন্তু বাদ যাবেন কে। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ৪৫১ রান করেছেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। তার বাদ পড়ার কথাই আসছে না। তবে খাওয়াজা? সেটাই বা কি করে হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিনিও কম যাননি, করেছেন ২৭২ রান। তার আগে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে করেন সর্বাধিক ৩৮৩ রান। এমন দুরন্ত ফর্মের কাউকে বসিয়া রাখা শক্ত। চলতি মাসের মধ্যেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল দিতে হবে। ব্যাটসম্যানদের সবার এমন জ্বলে উঠায় অসি নির্বাচকদের হয়ত এখন শক্ত হিসাব নিকাশে ঘুম হারাম অবস্থা।
কাউকে তিনে নামিয়ে তিনজনকে নিয়েই খেলে যায়। সেক্ষেত্রে রানে থাকা শন মার্শকে বাইরে ছিটকে যেতে হবে। স্মিথ ফিরলে চার নম্বরে জায়গা বরাদ্দ তার। এই জায়গায় নেমে গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলও রান পেয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে রান পাওয়া পিটার হ্যান্ডসকম্ব পাকিস্তানের বিপক্ষে অতো রান না পাওয়ায় হয়ত কোপটা পড়বে তার উপরই। সেক্ষেত্রে ম্যাক্সওয়েলকে ব্যাট করতে হবে নিচের দিকে।
স্মিথ-ওয়ার্নার নিষিদ্ধ হওয়ার ধাক্কায় টালমাটাল হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বেশ কয়েকদিন তাদের মনে হচ্ছিল বেশ সাদামাটা দল। অথচ বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসতেই ফের দুর্বার তারা। দুই বড় তারকার অভাব টেরই পাওয়া যাচ্ছে না। বরং স্মিথ-ওয়ার্নারের জায়গা পাওয়াটাও বেশ লড়াইয়ের মধ্যে।
রোববার দুবাইতে সিরিজের শেষ ম্যাচে খাওয়াজার ৯৮, মার্শের ৬১ আর ম্যাক্সওয়েলের ৭০ রানে ৩২৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওই রান তাড়া করতে গিয়ে হারিস সোহেলের সেঞ্চুরির পরও ৩০৭ রানে থেমেছে পাকিস্তানিরা। এতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের সবগুলোতেই হারল তারা।
Comments