ড. কামালের ‘সবুজ সংকেত’ পেয়ে শপথ নিচ্ছেন মোকাব্বির
সুলতান মোহাম্মাদ মনসুরের পর এবার শপথ নিতে যাচ্ছেন গণফোরামের আরেক নির্বাচিত এমপি মোকাব্বির খান (সিলেট-২)। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে তিনি শপথ নেবেন।
শপথের আয়োজন করতে সোমবার স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দেন মোকাব্বির। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে গণফোরাম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) আফসারি আমিন আহমেদ সংসদে চিঠিটি নিয়ে যান।
গণফোরামের প্যাডে পাঠানো ওই চিঠিতে নির্বাচিত এমপি বলেন, “আমি ও আমার দল এপ্রিল ২ অথবা ৩ তারিখে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ইউএনবির সাথে আলাপকালে মোকাব্বির বলেন, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্তে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। “দলের নেতা ও এর প্রেসিডেন্ট ড. কামাল হোসেন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শপথ নিতে ড. কামাল হোসেন তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। পাশাপাশি আমার সংসদীয় আসনের জনগণও আমাকে শপথ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
এর আগে গত ৭ মার্চ এমপি সুলতান মোহাম্মাদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন। শপথ নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই মনসুরকে বহিষ্কার করে গণফোরাম।
তারও আগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ শপথ আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে ৩ মার্চ পৃথকভাবে স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠান গণফোরামের দুই সংসদ সদস্য। তবে ওইদিন শপথ নেননি মোকাব্বির খান।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্লাটফর্মে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন গণফোরামের মনসুর। অন্যদিকে মোকাব্বির খান সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন।
বিএনপি ও গণফোরামসহ আরও কয়েকটি দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে বিএনপি ছয়টি আসনে এবং গণফোরাম দুটি আসনে বিজয়ী হয়।
তবে ‘ব্যাপক ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনে জোট নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
ঐক্যফ্রন্টের আট এমপির অংশগ্রহণ ছাড়াই গত ৩০ জানুয়ারি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
Comments