এমন ম্যাচও হারল ব্রাদার্স

সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের। রেলিগেশন লিগ খেলাই যেন অদৃষ্টে লেখা হয়ে গেছে তাদের। এদিন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচটা তাদের হাতের মুঠোতেই ছিল। তাদের ২০৬ রানে আটকে রেখে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই করে ফেলছিল ১৩৬ রান। জয় থেকে ৭১ রান দূরে। হাতে উইকেট ছিল ৯টি। কিন্তু তারপরও পারলো না ব্রাদার্স। ৯ রানের নাটকীয় জয় তুলে সুপার লিগ খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে গাজী গ্রুপ।
DPL 2019

সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের। রেলিগেশন লিগ খেলাই যেন অদৃষ্টে লেখা হয়ে গেছে তাদের। এদিন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচটা তাদের হাতের মুঠোতেই ছিল। তাদের ২০৬ রানে আটকে রেখে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই করে ফেলছিল ১৩৬ রান। জয় থেকে ৭১ রান দূরে। হাতে উইকেট ছিল ৯টি। কিন্তু তারপরও পারলো না ব্রাদার্স। ৯ রানের নাটকীয় জয় তুলে সুপার লিগ খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে গাজী গ্রুপ।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ব্রাদার্স। ৩৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে আউট হন মিজানুর রহমান। তবে ব্রাদার্সকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি। দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে রাব্বির সঙ্গে ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু দলীয় ১৩৬ রানে জুনায়েদ আউট হওয়ার পরই যেন সব হারিয়ে ফেলে দলটি। প্রথমে ঘূর্ণির মায়াজাল বেছান সঞ্জিত সাহা। এরপর নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত। ফলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে না পারলে ৭ বল বাকী থাকতেই ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।

দারুণ বোলিং করে ৪৯ রানের খরচায় একাই ৫টি উইকেট নিয়েছেন নাসুম। সঞ্জিত সাহা পান ৩টি মূল্যবান উইকেট। ব্রাদার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন জুনায়েদ। ১০৬ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। 

এর আগে সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গাজী গ্রুপ। সপ্তম উইকেটে পাকিস্তানি রিক্রুট কামরান গুলামের সঙ্গে শামসুল ইসলামের ৫৪ রানের জুটিটিই ইনিংসের সর্বোচ্চ। নবম উইকেটে অবশ্য কামরুল ইসলাম রাব্বির সঙ্গেও ৪৪ রানের জুটি গড়েন কামরান।

এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস খেলেন কামরান। ১০১ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। ব্রাদার্সের পক্ষে ৫৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন সাজেদুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ শরীফ। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ (মাইশুকুর ১, মেহেদী ৪৮, ইমরুল ০, রনি ৮, শামসুর ১২, কামরান ৮১, শামসুল ২২, নাসুম ৫, রাব্বি ১১, সঞ্জিত ২* মেহেদী ২/২৬, শরীফ ২/৪৭, শরিফুল্লাহ ১/২, বিশ্বনাথ ১/৩২, সাজেদুল ৪/৫৪, নাঈম ০/৩৫, ফজলে ০/৪)।

ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৮.৫ ওভারে ১৯৭ (মিজানুর ২৫, জুনায়েদ ৭২, ফজলে ৩১, দাস ০, ইয়াসির ৩০, শরিফুল্লাহ ৩, সাজেদুল ১৩, শরীফ ৮, বিশ্বনাথ ১, নাঈম ৫, মেহেদী ০; সঞ্জিত ৩/৪৫, মেহেদী ০/২০, নাসুম ৫/৪৯, শামসুর ০/১৭, রাব্বি ১/২৯, তারেক ০/৮, কামরান ১/২৯)।

ফলাফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৯ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাসুম আহমেদ (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স)।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago