শক্তিমান কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ আর নেই
দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকা বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ আর নেই।
আজ (৬ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
গত ৪ ডিসেম্বর বুকে ইনফেকশনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে টেলি সামাদ প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেখানে তার চিকিৎসা চলে। এরপর টেলি সামাদকে ভর্তি করা হয় বিএসএমএমইউতে। শুরুতে কেবিনে রাখা হয়, পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টেলি সামাদের বাইপাস সার্জারি করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। দেশে আসার পর অক্টোবর ও নভেম্বরে দুই দফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত বছরের ২০ অক্টোবর জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে।
কমেডিয়ান হিসেবে বেশিরভাগ দর্শক টেলি সামাদকে চিনলেও প্রায় ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে গানও গেয়েছেন তিনি। ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনাও করেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় টেলি সামাদের।
গত চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ অভিনীত চলচ্চিত্র ছিল ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জিরো ডিগ্রি’। ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকার বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনয়শিল্পী।
টেলি সামাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে। তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে মগবাজারে। এরপর মরদেহ রাখা হবে হিমঘরে। রোববার সকালে টেলি সামাদকে শেষ বারের মতো বেলা ১১টায় নেওয়া হবে এফডিসিতে। সেথানে অনুষ্ঠিত হবে তার তৃতীয় জানাজা।
এরপর এই শিল্পীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার নওগাঁয়। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন গুণী অভিনেতা। টেলি সামাদের মেয়ে সোহেলা সামাদ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে এই তথ্য দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টেলি সামাদ মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু স্বজন রেখে গেছেন।
টেলি সামাদের বড় মেয়ে কাকলী সামাদ জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তার বাবা। শুক্রবার অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার দুপুর দেড়টায় তিনি মারা যান।
Comments