পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন

আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঝলসে গেল এক ছাত্রীর শরীর। দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি (১৮) সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী। আজ সকালে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই তার ওপর হামলা হয়।

আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঝলসে গেল এক ছাত্রীর শরীর। দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি (১৮) সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী। আজ সকালে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই তার ওপর হামলা হয়।

ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আবু তাহের দ্য ডেইলি স্টারের ফেনী প্রতিনিধিকে জানান, রাফির শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

রাফির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার অফিসে রাফিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন। এই অভিযোগে মামলা করার পর তার ওপর হামলা হলো।

আজ সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা ছিল। রাফির ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সকালে বোনকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিয়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মাদরাসায় ঢোকার পর কিছু ছাত্র তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিল। রাফি কোনো প্রতিবাদ না করায় কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে ওই ছাত্ররা পালিয়ে যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন জানান, রাফির চিৎকার শুনে অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকরা ছাদে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনার সময় পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে মাদরাসাতেই ছিলেন তিনি।

ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও বলেন, উদ্ধার করে রাফিকে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার সম্পর্কে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছে ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।”

মাদরাসার অধ্যক্ষ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বুধবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর কিছু ছাত্র তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago