শুভাশিস-শহীদের তোপে আবাহনীকে হটিয়ে শীর্ষে রূপগঞ্জ
আগের রাতের বৃষ্টিতে উইকেটে ছিল ভেজা ভাব। টস জিতে আবাহনীকে ব্যাট করতে দিয়ে সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে তেতে উঠেন শুভাশিস রায় আর মোহাম্মদ শহীদ। বিরূপ পরিস্থিতিতে আবাহনীর ব্যাটসম্যানরাও পারেননি নিবেদন দেখাতে, পরে বাঁহাতি স্পিনে চেপে ধরেন নাবিল সামাদও। এতে টেবিলের দুই দলের লড়াই তাই হয়েছে একপেশে। আবাহনীকে অল্প রানে গুটিয়ে অনায়াসে জিতে শীর্ষে উঠেছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা আবাহনীর ইনিংস শেষ হয় ১২২ রানে। ২৩ ওভার ১ বল হাতে রেখে ওই রান টপকে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ।
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর এটি দ্বিতীয় হার। আবাহনীকে হারানোর দিকে ১০ ম্যাচে ৯টিই জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠল রূপগঞ্জ।
সকালে আবাহনীর শুরুটা হয় চরম বাজে। শুভাশিসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান ছন্দে থাকা ওপেনার জহুরুল ইসলাম। দলের ৮ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত শুভাশিসের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ভারতীয় প্রিয়াঙ্ককৃত পাঞ্চালকে একইভাবে পথ দেখান শহীদ। বিপর্যস্ত দলকে দিশা দিতে পারেননি সৌম্য সরকার। শুভাশিসের নিচু হওয়া বলে এলবিডব্লিও হয়ে ফেরেন তিনিও।
তবে পাঁচে নামা মোহাম্মদ মিঠুন খেলছিলেন চনমনে। ৫৫ বলে ৩৮ করে নাবিল সামাদের বাঁহাতি স্পিনে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। ৮ বলে কোন রান না করে সাব্বির রহমান বোল্ড হন শহীদের বলে।
চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় টিকে ছিলেন কেবল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ পর্যন্ত ৪০ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। কিন্তু কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় দলের স্কোর আর বড় হয়নি।
মামুলি লক্ষ্যে নেমে মেহেদী মারুফ আর মোহাম্মদ নাঈম আনেন জুতসই সূচনা। ওপেনিং জুটিতে ৬২ রান আসার পর ম্যাচ আরও সহজ হয়ে যায় রূপগঞ্জের। ৫৯ করে মারফ আর ২২ করে নাঈম ফেরার পর টপাটপ ফিরে গিয়েছিলেন মুমিনুল হক আর জাকের আলি অনিক। অধিনায়ক নাঈম ইসলাম আর শাহরিয়ার নাফিস মিলে বাকি কাজ সারতে খুব অসুবিধে হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী: ৩৯.১ ওভারে ১২২ (মোসাদ্দেক ৪০, মিঠুন ৩৮; শুভাশিস ৩/৩৭, মিঠুন ২/১১)
লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ: ২৬.৫ ওভারে ১২৫ (মারুফ ৫৯, নাঈম ২২; সাব্বির ১/১৩, সাইফুদ্দিন ১/১৬)
ফল: লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শুভাশিস রায়।
Comments