প্রেমে রাজি না হওয়ায় মারধর, স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে প্রেমে রাজি না হওয়ায় মারধরের ঘটনায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল (৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পশ্চিম এওজবালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদের মেয়ে।
নিহতের মা নূর বানু বলেন, “বড় মেয়ে নূর জাহানের দেবর রনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আমার এই মেয়ের। প্রেমের সুবাদে তারা কিছু ছবি তোলে। ওই ছবি রনির বন্ধু পশ্চিম এওজবালিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) সংগ্রহ করে আমার মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে।”
তিনি আরও জানান, গতকাল বিকাল ৪টার দিকে নিহত রুমি (কাল্পনিক নাম। পত্রিকার পলিসির কারণে তার প্রকৃত নাম ব্যবহার করা হয়নি) ফারুকদের বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে ফারুক তাকে ওই ছবিগুলো দেখিয়ে রনিকে ছেড়ে তার সাথে প্রেম করতে প্রস্তাব দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুমি বাড়িতে গিয়ে তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিষয়টি অবগত করে।
পরিবারের লোকজন রনির কাছে ছবিগুলোর ব্যাপারে জানতে চাইলে এ নিয়ে রনি এবং ফারুকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সন্ধ্যায় ফারুক রুমির বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার মা নূর বানুকে কাঠ দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এতে রুমি মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়।
সন্ধ্যায় নূর বানু আহত মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক উল্যা স্বপনের কাছে বিচার চাইতে গেলে ওই ইউপি সদস্য ফারুকের কাছ থেকে ৫’শ টাকা ওষুধ খরচ নিয়ে দেয়।
এরপর রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফিরে এলে হঠাৎ মাথা ঝিমিয়ে পড়ে যায় রুমি। বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, স্কুলছাত্রীকে প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যুবক ফারুক বিকালে মারধর করে। রাত ৮টার দিকে মেয়েটি মাথা ঝিমিয়ে পরে যায়। পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মুঠোফোন বন্ধ থাকায় ওই ইউপি সদস্যের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Comments