পাবনায় ৫৯৫ চরমপন্থির আত্মসমর্পণ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে ৫৯৫ জন চরমপন্থি পাবনার শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও স্থানীয়ভাবে তৈরি অস্ত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট জমা দেন। গতকালকের (৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠানে পাবনাসহ ১৪টি জেলা এবং চারটি দলের ৫৯৫ জন চরমপন্থি আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিরা পাবনা, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর ও টাঙ্গাইল জেলার অধিবাসী। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট (লাল পতাকা) পার্টি, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি এবং কাদামাটি পার্টির সদস্যরা রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আত্মসমর্পণের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাদের ১৬ জন দলনেতাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। আত্মসমর্পণকারীরা সবাই এই আর্থিক অনুদান পাবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বলেন, “অন্ধকার পথ ছেড়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আলোকিত জীবন-যাপনে ফিরে আসার জন্য আজকে যারা আত্মসমর্পণ করলেন তারা ভবিষ্যতে যাতে সততার সাথে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হবে।”
আত্মসমর্পণকারীদের সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা সরকারের পক্ষ থেকে আইনি সহযোগিতা পাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি তারা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আত্মসমর্পণের সুযোগটি গ্রহণ করুন। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন অনেক আধুনিক ও চৌকস। আপনারা আর নৈরাজ্য করার সুযোগ পাবেন না। নিজেদের পরিবারের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। পরিবারের হাল ধরুন। নইলে নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাবেন না।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোন দুষ্কৃতিকারীর স্থান হবেনা। এখন জলদস্যু, বনদস্যু ও মাদককারবারিরাও আত্মসমর্পণ করছে। এজন্য আমি সব ধরনের দুষ্কৃতকারীদের আহ্বান করছি আপনারা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন।”
পাবনা জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং জেলা পুলিশ সুপারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামসুর রহমান ডিলু এমপি, মোঃ শামসুল হক টুকু এমপি, গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি, মোঃ মকবুল হোসেন এমপি ও আহমেদ ফিরোজ কবীর এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
Comments