বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি জোরালো করলেন মোসাদ্দেক
১৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে দল ছিলো চরম বিপর্যয়ে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নেমে থিতু হতেই পড়ে যায় আরও দুই উইকেট। একশো রানের ভেতর ছয় উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে একাই টেনে নিয়েছেন মোসাদ্দেক। দারুণ সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন দল, বিশ্বকাপ দলে আসার দাবিটিও করেছেন জোরালো।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে আবাহনীকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলো শেখ জামাল ধানমন্ডি। আগের রাতের বৃষ্টিতে উইকেটে ছিলো ভেজা-ভাব। তা কাজে লাগিয়েই জ্বলে উঠেন নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানিরা।
৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানো আবাহনী ৫০ ওভারে করেছে ৯ উইকেটে ২১১ রান। ৬ চার আর ৩ ছক্কায় মোসাদ্দেক একাই করেন ১০১ রান।
জহুরুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাহিদ জাভিদ- টপ অর্ডারের এই চার ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান করার আগেই ফেরত যান। পাঁচে নামা মোহাম্মদ মিঠুন শুরুটা পেয়েছিলেন ভালো। আরও একবার থিতু হয়ে ৩৩ রানে তিনি বোল্ড হন সানির বলে।
সাতে নামা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সব দায়িত্ব তাই পড়ে ছয়ে নামা মোসাদ্দেকের ঘাড়ে।
মাশরাফি মর্তুজাকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মোসাদ্দেক। ২০ রান করে মাশরাফি আউট হয়ে গেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে গড়েন আরেক জুটি। অষ্টম উইকেটে মূলত তাদের ৫৭ রানের জুটিতে দল পায় দুশোর ঠিকানা।
মামুন ফিরে গেলেও পুরো ইনিংস শেষ করে মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক। ১৩৯ বলে দায়িত্বশীল ১০১ রানের এই ইনিংস বিশ্বকাপ দলে আসার দাবিকেও আরও জোরালো করল।
ইংল্যান্ডে এবারের বিশ্বকাপে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে জোর আলোচনায় আছে তার নাম।
Comments