তাসকিনের ফেরার ম্যাচে রূপগঞ্জের দাপট
লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জেতাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাদের হয়ে চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা তাসকিন আহমেদের জন্য ম্যাচটা ছিল আরও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ দলে থাকতে মরিয়া তাসকিন অবশ্য তেমন ভাল করতে পারেননি, কিন্তু ম্যাচ ফিটনেস দেখিয়ে নিজের দাবি জানিয়েছেন ঠিকই।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একাদশ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে রূপগঞ্জ হারিয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে নাবিল সামাদ, ঋষি ধাওয়ানদের তোপে মাত্র ১৮০ রান করতে পারে উত্তরা। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানে রান পাওয়ার দিনে ওই লক্ষ্য ৫৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে জিতেছে রূপগঞ্জ।
এতে সুপার লিগের আগে ১১ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে নাঈম ইসলামের দল।
এই ম্যাচের ফলাফলের চেয়েও বেশি আগ্রহ ছিল তাসকিনকে ঘিরে। গোড়ালির চোটে প্রায় আড়াইমাস মাঠের বাইরে থাকার পর কেমন করেন তিনি তা দেখতে মাঠে ছিলেন নির্বাচকরাও। এদিন পাঁচ ওভার বল করেন তাসকিন, তাতে ৩৬ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেট শূন্য।
প্রথম স্পেলে বল করেছিলেন ৪ ওভার। দ্বিতীয় স্পেলে এক ওভার। খরুচে হওয়ায় আর বল পাননি। চোট সেরে মাত্রই ফেরায় দেখা গেছে জড়তা, গতি ছিল কম। লাইনলেন্থও ছিল না ধারালো। তবে ফিটনেসের ঘাটতি টের পাওয়া যায়নি।
সকালে টস জিতে উত্তরাকে ব্যাট করতে দিয়ে ওপেনার তানজিদ হাসানকে তুলে নেন ধাওয়ান। শাহনাজ আহমেদকে নিয়ে আরেক ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন টানছিলেন দলকে। কিন্তু রান তুলার গতি শ্লথ হওয়ায় চাপ বেড়ে যায় তাদের উপর। সেই চাপেই ভেঙেছেন তারা। শাহনাজ ২৭ আর ইমন করেন সর্বোচ্চ ৫৫।
শেষ দিকে মিনহাজুল আবেদিন আর শাকির হোসেনের ব্যাট থেকে আরও দুই মাঝারি ইনিংস এলে টেনেটুনে ১৮০ রানে যেতে পারে তারা।
১৮১ রানের সহজ লক্ষ্যে দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ আর মোহাম্মদ নাঈমই মিলে করে ফেলেন ৯৬ রান। ৬৩ রান করে নাঈম আউটের পর মুমিনুল হককে নিয়ে বাকিটা সেরেছেন মারুফ। দলকে জিতিয়ে ১১৪ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ওয়ানডাউনে নেমে আরও আগ্রাসী ছিল মুমিনুলের ব্যাট। ৫৩ বলে ৪৭ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ১৮০/৮ (ইমন ৫৫, মিনহাজুল ৩৭; নাবিল ৩/২৯)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪০.৪ ওভারে ১৮১/১ (নাঈম ৬৩, মারুফ ৬২*, মুমিনুল ৪৭* ; মোহাইমিনুল ১/৩৪)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাবিল সামাদ।
Comments