মোসাদ্দেকের ম্যাচে ব্যাটে বলে নায়ক নাসির
অফ স্পিনে আবাহনীকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন নাসির হোসেন। তবু মোসাদ্দেক হোসেনের দারুণ সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরেছিল আবাহনী, দিয়েছিল মাঝারি পূঁজি। রান তাড়ায় শেখ জামালের বিপর্যয় পড়লে ব্যাট হাতেও প্রতিরোধ গড়েন নাসির। ব্যাটে বলে তার এমন জ্বলে উঠার দিনে রোমাঞ্চকর জয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত হয়েছে শেখ জামালের।
বিকেএসপিতে একাদশ রাউন্ডের ম্যাচ ৭ বল হাতে রেখে শেখ জামাল ধানমন্ডি জিতেছে ৩ উইকেটে।
আগে ব্যাট করে মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরিতে ২১১ রান করেছিল আবাহনী। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও নাসির হোসেন, অমিত মজুমদার, তানবীর হায়দার দৃঢ়তায় ওই রান টপকেছে শেখ জামাল। এই জয়ে ১১ ম্যাচের ছয়টি জিতে ১২ পয়েন্ট শেখ জামালের। নিজেদের শেষ ম্যাচে মোহামেডান আর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স জিতলে তাদেরও হবে ১২ পয়েন্ট। কিন্তু হেড-টু-হেডে এগিয়ে থাকায় আর কোন সমীকরণের দরকার হচ্ছে না শেখ জামালের।
২১২ রানের লক্ষ্যে নেমে ১২ রানেই ২ উইকেট হারায় শেখ জামাল।
অমিতকে নিয়ে ইমতিয়াজ হোসেন ৬৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের ৮১ রানে ইমতিয়াজ ফেরার পর তড়িঘড়ি ফিরে যান নুরুল হাসান সোহান। এরপরই অমিতকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু নাসিরের। দুজনের জুটিতে ৬০ রানের বেশিরভাগই আনেন নাসির। সর্বোচ্চ ৫৬ করে ফেরেন অমিত। ৫৬ বলে ৪৫ করে আউট হন নাসির।
তখন আবার জেগেছিল শঙ্কা। কিন্তু তানবীর হায়দার ৪৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে খেলা শেষ করে দিয়ে আসেন।
আগের দিনের বৃষ্টিতে উইকেটে ছিল ভেজা ভাব, আবহাওয়াও ছিল মেঘলা। এমন পরিস্থিতিতে টস জিতে আবাহনীকে ব্যাট করতে দিয়েই চেপে ধরে শেখ জামাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে নেওয়া নাসির শুরুতেই ফেরান সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাহিদ জাভেদকে। আরেকদিনে জহুরুলকে ছেঁটে ফেলেন সালাউদ্দিন শাকিল । ১৪ রানেই তাই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এরপরও মোসাদ্দেকের ওই প্রতিরোধে লড়াইয়ের পূঁজি পেয়েছিল তারা। কিন্তু বেলা বাড়তে ব্যাট করার জন্য ভালো হতে থাকা উইকেটে ম্যাচ ঠিকই বের করে নেয় শেখ জামাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী: ৫০ ওভারে ২১১/৯ (মোসাদ্দেক ১০১*, মিঠুন ৩৩; নাসির ৩/২৪, সানি ২/৪২)
শেখ জামাল ধানমন্ডি: ৫০ ওভারে ২১৫/৭ (অমিত ৫৬, নাসির ৪৫ ; সৌম্য ২/২৯, সাইফুদ্দিন ২/৩৯)
ফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাসির হোসেন।
Comments