অবশেষে ওল্ড ট্রাফোর্ড জয় করল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল খরায় ভুগছেন লুইস সুয়ারেজ। শেষ ১৬ ম্যাচে মাত্র ১ গোল। আর কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে নিজের শেষ ১১টি ম্যাচে গোল নেই লিওনেল মেসিরও। এদিনও গোল পাননি কেউই। তবে এ দুই তারকার নৈপুণ্যেই ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম জয় নিয়ে ফিরেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে রইল দলটি।
ঘরের মাঠে এদিন ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামে ইউনাইটেড। বল পায়ে রেখে খেলার চেয়ে প্রতিপক্ষকে খেলিয়ে পাল্টা আক্রমণে গোল আদায় করে নিতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। ম্যাচের ১২ মিনিটেই লুক শোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। সে গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। তবে এ গোলের দারুণ অবদান রয়েছে মেসি ও সুয়ারেজের। মেসির বুদ্ধিদীপ্ত ক্রসে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে দারুণ হেড নিয়েছিলেন সুয়ারেজ। শোর গায়ে লেগে জালে জড়ায় বল। তবে লাইন্সম্যানের অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন। ভিএআরে টিকে যায় সে গোল।
অবশ্য গোল করার মতো দিনের প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল ইউনাইটেডই। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে রাশফোর্ডের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২১তম মিনিটে রাশফোর্ডের দূরপাল্লার শট বারপোস্টের অনেক উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক সেভ করেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়া। ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন সুয়ারেজ। আলতো টোকায় পাস দেন কৌতিনহোকে। দারুণ শট নিয়েছিলেন এ ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু তার চেয়েও দারুণ দক্ষতায় সে শট ফিরিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক।
৪০তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো ম্যানইউ। রাশফোর্ডের ক্রস ফাঁকায় দাঁড়িয়ে হেড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন দিয়াগো দালত। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ে শেষ মুহূর্তে সুয়ারেজকে দারুণ ব্যাকহিল করে ফাঁকায় পাস দিয়েছিলেন কৌতিনহো। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এ ফরোয়ার্ড।
৫২তম মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ মিস করেন রাশফোর্ড। অ্যাশলে ইয়ংয়ের ক্রস পাঞ্চ করে ঠিকভাবে ফেরাতে না পারলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান এ ইংলিশ ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার ভলি বারপোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৫তম মিনিটে নিজেদের সেরা সুযোগটি মিস করেন সুয়ারেজ। নেলসন সেমেদোর পাস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন এ ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া জর্দি আলবার শট ফিরিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক।
৮৩তম মিনিটে ফ্রিকিক থেকে বুদ্ধিদীপ্ত শট নিয়েছিলেন মেসি। গড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন দি হেয়া। পরের মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ ছিল ইউনাইটেডের। তবে গোলমুখে বদলী খেলোয়াড় অ্যান্থনি মার্শিয়াল বল ধরার আগেই পিকে বিপদমুক্ত না করলে বিপদে পড়তে পারতো অতিথিরা।
Comments