নুসরাত হত্যা: ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হলেন ফেনীর আ. লীগ নেতা
ফেনীর সোনাগাজীতে ‘আগুন হামলার’ শিকার মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত থাকার অভিযোগে রাজধানী ঢাকা থেকে ফেনীর এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতরাত (১১ এপ্রিল) সাড়ে ১১টার দিকে মকসুদ আলম নামের সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার পরিচালনা পর্যদের সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর যৌথ অভিযানে মকসুদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেপ্তার করায় তার মুক্তির দাবিতে মকসুদের নেতৃত্বে কয়েকটি মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
মকসুদকে আজ সকালে ফেনীতে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে এখন পর্যন্ত মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফেনীর আদালত মাদরাসার অধ্যক্ষকে সাতদিনের রিমান্ড এবং অপর দুই অভিযুক্ত- আলিম শিক্ষার্থী জুবাইর আহমেদ এবং পরীক্ষার্থী ও অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি প্রত্যেককে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
খবরে প্রকাশ, গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে বোরখা পরিহিত কয়েকজন পরীক্ষার্থী নুসরাতকে মিথ্যা বলে মাদরাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে কেরোসিন ঢেলে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে এই গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ছাদে নিয়ে গিয়ে তারা প্রথমে নুসরাতকে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের নামে দায়ের করা যৌনহয়রানির মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু, তিনি রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে চারজন মিলে নুসরাতের পায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, আগুনে নুসরাতের শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন:
নুসরাত হত্যা: অধ্যক্ষের পক্ষ নেওয়া আ. লীগ নেতা বহিষ্কার
‘নুসরাত হত্যার তদন্তে কোনো গাফলতি পেলে হাইকোর্ট পদক্ষেপ নিবে’
Comments