ঢাবি ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে মঞ্চ ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের মলচত্বরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত বৈশাখী কনসার্ট মঞ্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
Fire
১২ এপ্রিল ২০১৯, দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টার মধ্যে ঢাবি ক্যাম্পাসের মলচত্বরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত বৈশাখী কনসার্ট মঞ্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ছবি: স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের মলচত্বরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত বৈশাখী কনসার্ট মঞ্চে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ জড়িত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকে জানিয়েছেন।

ওই ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, এই আয়োজনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে মূল্যায়ন না করার অভিযোগ এনে তার অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এসময় বৈশাখী কনসার্ট মঞ্চের আশপাশে স্থাপিত বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, বিজ্ঞাপন সামগ্রী, স্টলে ব্যাপক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়াও, বিভিন্ন স্টলে রক্ষিত ২৭টি ফ্রিজের ১৩টিকে ভেঙে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে কী-না? জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, “কারা ভাংচুর করেছে এবং আগুন দিয়েছে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।”

আয়োজনটি বাতিল করা হবে কী-না? সে বিষয়ে প্রক্টর বলেন, “এটা শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রাম। তারাই সিদ্ধান্ত নিবে, এটা আয়োজন করা হবে- কী হবেনা।”

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “ছাত্রলীগ বরাবরই ক্যাম্পাসে এ ধরণের ঘৃণিত কাজ করে আসছে। অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে এবারও তারা পহেলা বৈশাখের মতো একটি সার্বজনীন আয়োজনকে কলঙ্কিত করা জন্য এই ধরণের একটি সাম্প্রদায়িক কাণ্ড ঘটিয়েছে।”

“আয়োজনটির সাথে যেহেতু ছাত্রলীগ জড়িত এবং এর অর্থায়নে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন রয়েছে, সেক্ষেত্রে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণ হিসেবে তাদের মধ্যে টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টিও থাকতে পারে,” যোগ করেন নুর।

নুরের দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেনো অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনের ফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago