অধ্যাপক শফিউল ইসলাম হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

Shafiul Islam
অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর এক আদালত। এই হত্যা মামলায় অপর আট আসামি খালাস পেয়েছেন।

আজ (১৫ এপ্রিল) ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিচারপতি অনুপ কুমার রায় এই আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- আরিফুল ইসলাম মানিক, আব্দুস সামাদ পিন্টু ও সবুজ শেখ। এর মধ্যে আরিফুল ইসলাম মানিক ও আব্দুস সামাদ পিন্টু আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, সবুজ শেখ এখনও পলাতক রয়েছেন।

তবে, এই রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মর্তুজা। তার দাবি, “এই মামলার ৩৪ জন সাক্ষীর কেউই আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।”

অপরদিকে, অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলামের একমাত্র ছেলে সৌমিন শাহরিদ জেভিনও মামলাটির তদন্ত ও বিচার সঠিকভাবে হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি বলেছেন, “বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কারণ আদালতের কাছে যা উপস্থাপন করা হয়েছে তার ভিত্তিতেই বিচার কাজ চলেছে। এই মামলার তদন্ত সঠিকভাবে হয়েছে বলে আমি মনে করি না।”

এছাড়াও, এই মামলাটি সঠিকভাবে পরিচালনা না করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

সৌমিন জানান, এই মামলার যাবতীয় বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদারকি করবে জানিয়ে তাকে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে বলা হয়।

“কিন্তু মামলাটির প্রতি তাদের (রাবি প্রশাসন) অবজ্ঞা প্রদর্শনের কারণে অপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত হয়নি,” বলেন সৌমিন।

এই মামলায় অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলামের মৃত্যুর কারণ যা দেখানো হয়েছে, সেটিকে মিথ্যা উল্লেখ করে- একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের হত্যার পেছনে এমন কারণ থাকতে পারে না বলেও দাবি করেন তিনি।

এছাড়াও, র‌্যাব মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন সৌমিন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহী নগরীর চৌদ্দপাই এলাকায় অধ্যাপক শফিউলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago