‘উনি বলবেন সাদা, আমি বলছি অফ হোয়াইট- এখানে ঝগড়া করার কিছু নাইতো, বাই’

তিনি পেশাগত জীবনে একজন ডাক্তার, পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশে- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। বর্তমানে তিনি রাজনীতিবিদ- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। আমরা বহু রাষ্ট্র প্রধানের বক্তৃতার সঙ্গে পরিচিত। সুখি মানুষের দেশ ছোট্ট ভুটান আমাদের কাছে খুব একটা গুকুত্বপূর্ণ নয়। সেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বাংলাদেশ সফরে এসে, তার অসাধারণ বক্তৃতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিলেন। ছাপ রেখে গেলেন, তিনি ভৌগলিকভাবে ছোট দেশের উচ্চ মূল্যবোধ সম্পন্ন বড় একজন রাষ্ট্রনায়ক।
Bhutan PM
১৪ এপ্রিল ২০১৯, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

তিনি পেশাগত জীবনে একজন ডাক্তার, পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশে- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। বর্তমানে তিনি রাজনীতিবিদ- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। আমরা বহু রাষ্ট্র প্রধানের বক্তৃতার সঙ্গে পরিচিত। সুখি মানুষের দেশ ছোট্ট ভুটান আমাদের কাছে খুব একটা গুকুত্বপূর্ণ নয়। সেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বাংলাদেশ সফরে এসে, তার অসাধারণ বক্তৃতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিলেন। ছাপ রেখে গেলেন, তিনি ভৌগলিকভাবে ছোট দেশের উচ্চ মূল্যবোধ সম্পন্ন বড় একজন রাষ্ট্রনায়ক।

১৪ এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের ইংরেজি-বাংলা মেশানো বক্তৃতার কিছু অংশ হুবহু তুলে দেওয়া হলো:

“আই হ্যাভ লার্ন্ট ইন মাই লাইফ দ্যাট- আপনারা যদি কিছু শিখতে চান, সেটা পড়ে শেখা যাবে না, (সেটা নিয়ে) ডিসকাস করতে হবে। দ্য বেস্ট ওয়ে টু লার্ন ইজ থ্রু ডিসকাশন, নট থ্রু লেকচারস। দ্যাটস হোয়াই আই এম নট গিভিং লেকচারস। প্লিজ ডোন্ট লিসেন টু মাই লেকচারস।”

“আমার সাল বা ডেট ঠিক মনে নাই। আমি ফোরথ ইয়ারের ছিলাম। সেই ইভিনিং-এ আমার পেটে ব্যথা করছিলো। অ্যারাউন্ড ৯টার দিকে আমি একবার বমিও করেছি। আমার ওয়ান ইয়ার সিনিয়র ডা. সেলভা রাজা ফ্রম মালয়েশিয়া। আমার একদম ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিলেন। যাহোক, আমি উনাকে ডেকে নিলাম। প্রায় মিড নাইট, লিটল পাসড মিডনাইটে আই ওয়েন্ট ওভার টু সেলভাস রুম অ্যান্ড সেইড সেলভা আই এম নট ফিলিং ওয়েল টুডে। দেন হি ক্যাম আপ টু মাই রুম, রুম নাম্বার টুয়েন্টি। হি স্পেন্ট দ্য নাইট উইথ মি। আই কুডন্ট স্লিপ দ্য হোল নাইট। আই ভোমিটেড ফিউ মোর টাইমস। এবং প্রথমবারেই, অ্যাট ফার্স্ট আওয়ার অব দ্য নেকস্ট মর্নিং হি টুক মি টু দ্য হসপিটাল। তখন আউট ডোরে- আমরা তখন আরপি বলতাম, এখন কী বলে জানি না। আরপি কী আমার জানা নাই। আমি উনার কাছে একবারও যাই নাই। অ্যাজ অ্যা স্টুডেন্ট যাইতে হয় নাই। অ্যাজ অ্যা রোগী অবশ্যই যাইতে হয় নাই। সেজন্যে উনার দরজার বাইরে আমরা দুই জন এক ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়েছিলাম। উনি ব্যস্ত নিশ্চয়।”

“তারপর এক ঘণ্টা পর আমি ভেতরে ঢুকে সিম্পটমসগুলো বলতে চাইছিলাম। কিন্তু, সরাসরি উনি আমাকে… অ্যাজ হি ওয়াজ রিভিলিং মাই হিস্ট্রি, আই সেইড আই অ্যাম অন রেনিটেডিন, ওমিপ্রাজল… অ্যাজ আই রিকোয়ার। উইদাউট মাচ ডিলে হি গেভ মি ওমিপ্রাজল। অ্যান্ড হি সেইড- গো অ্যান্ড রেস্ট। ওইটা নিয়ে আমি আবার ২০ নম্বর রুমে গেলাম। রেস্ট করলাম। ইভিনিং এ ঠিক হইতেছে না। রেনিটেডিন খাওয়া, ওমিপ্রাজল খাওয়া কিছুই কাজ করতেছে না। অ্যাগেইন নেকস্ট মর্নিং উই ওয়েন্ট টু দ্য সেম আরপি। অ্যান্ড আরপি সেইড, যাক, মনে হয় ইউ ডন্ট ওয়ান্ট টু অ্যাটেন্ড ক্লাসেস। রেস্ট নিতে চাইলে আপনি স্টুডেন্ট কেবিনে ভর্তি হয়ে যান। ভর্তি হইলাম স্টুডেন্টস কেবিনে। তারপর ওখানেই ছিলাম, যেহেতু ইন্টারনাল মেডিসিন থেকে দেখতেছে, রাউন্ডে আসতেছে, প্রফেসররা আসতেছে, আমি ঠিক হচ্ছি না। দিনের পর দিন আমার কন্ডিশন খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো।”

“তারপর একদিন, আই ডোন্ট নো হাও ম্যানি ডেজ লেটার, সাম ডিফরেন্ট গ্রুপ অব ডক্টরস কেম। অ্যান্ড ইট হেপেন্ড টু দ্য সার্জিক্যাল টিম। দ্যাট মর্নিং দ্য সার্জিক্যাল টিম টুক রাউন্ডস। অ্যান্ড ইভিনিং এ সামবডি কেম। অ্যাকচুয়ালি আই ডিডন্ট নো। অ্যান্ড দিজ জেন্টেলম্যান ওয়াজ সিন। আরে এই ছেলেটা, এটাতো অ্যাপেন্ডিসাইটিস ভাই। এটাতো বার্স্ট হচ্ছে এখন।… কী এটার কোনো মানে হলো। আমাদেরকে (সঙ্গে) ডিসকাস করলেও হইতো। ইউ শুড হ্যাভ কনসালটেড আস। দেন হি টানর্ড টু মি অ্যান্ড সেইড- প্লিজ ডোন্ড ওরি। ইউ নিড ইমিডিয়েট সার্জারি। আই উইল অপারেট। দেয়ার উইল নট বি অ্যানি প্রবলেম। ইউর পেরেন্টস আর ফার অ্যাওয়ে। ইয়েট, আই হ্যাব ডান হান্ড্রেডস অ্যান্ড থাউজেন্ডস অব দিজ কেসেস। প্লিজ, বি অ্যাসিওর্ড- ইউ উইল হ্যাব নো প্রবলেম। দ্যাট সেম নাইট, অ্যারাউন্ড নাইন অর টেন পিএম, আই ওয়াজ ইন অপারেশন থিয়েটার। মাই অ্যাপেন্ডিস কেম আউট। দেন আই ওয়াজ সিক ফর অ্যাবাউট টু উইকস। আই টুক অ্যা শর্ট ব্রেক, ওয়েন্ট হোম। কেম ব্যাক। স্টার্টেড মাই নরমাল রুটিন থিংস। সবার মতো আমি আবার ক্লাস শুরু করি। লেখাপড়া শুরু করলাম। তখন আমার কী মনে হয়েছিলো- ফিউ ইভেন্টস- রোগী দেখতে হলে ভালোই (করে) দেখতে হবে। স্ট্যান্ডিং এ একটা প্রেসক্রিপশন দিলে ডায়াগনোসিস মিস হয়ে যায়। সেটা আমরা সবসময়ই করি। সেদিন আমার নিজের ওপরে হইছে বলেই আমার মনে আছে এখনো। যার ফলে আমরা আমাদের কাজটা একটু লাইটলি নিলে আরেকজনের জীবন (বিপন্ন) করতে (হতে) পারবেন।”

Bhutan PM
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সহপাঠীদের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ছবি: স্টার

“আমরা যেহেতু, উই ডিল উইথ পেশেন্টস অল দ্য টাইম। ফ্রম মর্নিং টিল নাইট। উই ডিল উইথ পেশেন্টস।... আমরা মানিয়ে নেই- এটাতো আমাদেরই কাজ।”

“আই অলওয়েজ গিভ ওয়ান মেসেজ- ইউ শুড টার্গেট টু বি অ্যা গুড সার্জন। সেই গুড সার্জনটা কোথা থেকে আসতেছে। নট ফ্রম টেক্ট বুক। টু বি অ্যা গুড সার্জন- ক্রাইটেরিয়া নাম্বার ওয়ান- ভালো মানুষ হইতে হবে, বাই। হি হ্যাজ টু বি অ্যা গুড হিউম্যান বিং ফার্স্ট। সো আই অ্যাম সিওর দিজ হল ইজ ফিল্ড উইথ হিউম্যান বিংস হেয়ার। গুড হিউম্যান বিংস।”

“আই জয়েন্ড পলিটিক্স বিকজ অব মাই প্যাশন ফর হেলথ। আমি আমার প্রফেশনটা ছেড়ে দিয়ে পলিটিকসে ঢুকি নাই। বিকজ অফ মাই লাভ, বিকজ অফ মাই প্যাশন ফর মেডিকেল প্রফেশন আই জয়েন্ড পলিটিকস। লাইক অ্যানিহোয়ায়ার এলস ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ভুটান অলসো হ্যাজ লটস অব পলিসি ইস্যুজ। ডুস অ্যান্ড ডোন্টস। যেটা আমরা একটু ভালোভাবে করতে পারি আর কী। নিয়ম-কানুনগুলো কী রকম হইলে মানুষের জন্যে ভালো হইবে। সেই রকম নিয়ম-কানুন যদি (করা যায়) হইতে পারলে- একটা ইউজফুল হয় আর কী। সেই হিসেবে আমার বন্ধু আপনারা শুনেছেন (ভুটানের) এখনকার ফরেন মিনিস্টার ড. তানদি দর্জি এবং আমি ২০ নম্বর রুমে ছিলাম আমরা। তখন থেকেই আমরা উই ওয়ার ভেরি গুড ফ্রেন্ডস। যদিও উনি এম টুয়েন্টিফোর, আমি এম টুয়েনটিএইট। আমার বড় ভাই ছিলেন। আমরা এক সঙ্গে তখন থেকে নাইনটিন নাইন্টিওয়ান থেকে রুমমেট হিসেবে কাজ করছি। তারপর ভুটানে এক হসপিটালে কাজ করছি। সবসময়ই আমরা দেখা করতাম। সবসময় খেলাধুলা করতাম। ক্যান্টিনে চা-পানি একসঙ্গে খাইতাম। এখন পর্যন্ত আমরা একবারও আরগু করি নাই। একবারও আমরা (আমাদের) মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয় নাই। সেই কারণটা হইলো- বিকজ উই অল মাস্ট আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট- ইটস নেভার অ্যাবাউট রাইট অর রং। ইটস অলওয়েজ অ্যাবাউট ডিফ্রেন্সেস ইন অপিনিয়ন। উই অল হ্যাভ দ্য রাইট টু এক্সপ্রেস অপিনিয়ন। এটা রাইট অর রং এর কথা নয়। এটা হলো ডিফ্রেন্সেস অব অপিনিয়ন। তাহলে অসুবিধাটা কী হলো? উনি বলবেন এটা সাদা। ঠিক আছে। আমি বলছি এটা অফ হোয়াইট। এখানে ঝগড়া করার কিছু নাইতো, বাই (ভাই)। সো, আমি সবসময় বলি যে উনি অফ হোয়াইট বললে আরে থাকেন (থাকুক) না উনার জন্যে এটা অফ হোয়াইট। কিন্তু, আমার জন্যে এটা হোয়াইট। তো কী অসুবিধা আছে? সেই হিসেবে চলতে থাকলে আমার জীবনে অসুবিধা হবে বলে কখনো মনে করি না আমি। সে জন্যে উনি আমার পার্টি যেটা এখনকার পার্টি আমরা ডিএনটি বলি- ২০১২/১৩ তে উনি ফাউন্ড করেছেন।”

“তারপর ওই পার্টিতে জয়েন করার পর ২০১৩ টা ভালো যায়নি আসলে। আমরা সব কিকড আউট। তবে অসুবিধা নাই। আমরাতো জেতার জন্যে (পার্টি) করি নাই। আমরা প্যাশন হয়ে (নিয়ে) করছি। যদি কিছু করতে পারলে (পারি) আমরা করবো এক সঙ্গে। হাত ধরে ধরে করবো বলে আমরা একবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হয় নাই। না হইলেও অসুবিধা নাই। এটা ছোটখাট কাজ না। এটা দেশের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য। আমাদের জন্য না এটা। একবার না হোক অসুবিধা নাই বলে আমরা আবার শুরু করেছি। ২০১৩ তে আমরা হারার পরে পরে আবার এক সঙ্গে বসে ২০১৮ র জন্য কাজ করেছি।”

“আমাদেরকে এবার (২০১৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার) সুযোগটা দেওয়ার কারণ হলো আমাদের মেনিফেস্টোতে হেলথ মেনিফেস্টো ইজ ভেরি স্ট্রং। আমাদেরকে ভোট করার (দেওয়ার) জন্যে আমি বলি নাই ওদেরকে (জনগণকে)। ভোট কখনোই আমি মাঙ্গি নাই। আই নেভার আসক ফর ভোট। আমি দেশব্যাপী ঘুরছি। ওনাদেরকে (জনগণকে) বলেছি- তোমাদের অসুবিধা যদি এই হয় আমি এইভাবে ঠিক করে দিবো। সেই হিসাবে আই হ্যাভ ট্যুরড দ্য কান্ট্রি টু টাইমস। অ্যান্ড প্রাইমারি রাউন্ডে পার্টি ফার্স্ট হয়েছে এবং সেকেন্ড রাউন্ডে পার্টি ফার্স্ট হয়েছে বলেই এখন আমরা সরকারেতে আছি।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago