বিজিএমইএ ভবন ভাঙার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে: রাজউক
রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে নির্মিত তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ভবন ভাঙার বিষয়ে কর্মকর্তারা এখন বলছেন যে, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল (১৬ এপ্রিল) ভবনটি ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, রাজউকের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অফিসের সরঞ্জাম সরিয়ে না নেওয়ার বিষয়টি দেখতে পেয়ে ভবন ভাঙার কাজ স্থগিত করেন।
গতকালই পুলিশ পাহারায় ভবনটিকে খালি করে দিয়ে রাজউক কর্মকর্তারা এর মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
তবে, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস আজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “পরবর্তীতে একটি বৈঠকের পর আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।”
কখন সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
তিনি যা বলেছেন, তাতে নিশ্চিত হওয়া গেল যে, আজও ভবনটি ভাঙা হবে না এবং প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়েছে।
যদিও গতকাল তিনি বলেছিলেন, “ভবনটি ইতিমধ্যে কিছু চীনা বিশেষজ্ঞ দেখে গেছেন। তাদের সহায়তায় আমরা শিগগিরই নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে (কন্ট্রোলড ডেমোলিশন) ভবনটি ভেঙে ফেলব।”
উল্লেখ্য, জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা আসে উচ্চ আদালত থেকে। সে জন্য ভবনটি ছাড়তে গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছিলেন আদালত।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়।
ভবনের কার্যক্রম সরিয়ে নিতে উত্তরা তৃতীয় পর্বে ১১০ কাঠা জমির ওপর বিজিএমইএ নতুন ভবন নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে ১৩ তলা ভবনের ৬ তলার কাজ শেষ হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্মাণাধীন ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:
Comments