ফরহাদ রেজার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দোলেশ্বরের জয়
বল হাতে প্রথমে তোপ দাগালেন ফরহাদ রেজা। এরপর ব্যাট হাতে খেললেন কার্যকরী এক ইনিংস। তাতে প্রাইম ডার্বি জিতে নিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দলটি। ফলে প্রাইম ব্যাংকের সমান ১৬ পয়েন্ট হলো দোলেশ্বরের।
এদিন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফরহাদ রেজার তোপে পরে প্রাইম ব্যাংক। ফলে দলিও ৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে আল-আমিনকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে নেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অলোক কাপালী। তবে এ জুটি ভাঙলে আবার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে ৪৮.১ ওভারে ১৬৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন কাপালী। ৮৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া আল-আমিন ৩২, আরিফুল হক ২৭ ও মনির হোসেন ২৩ রান করেন। দোলেশ্বরের পক্ষে ২২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন রেজা। মানিক খান ও তাইবুর রহমান নেন ২টি করে উইকেট।
১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দোলেশ্বরের। ওপেনার সাইফ হাসানের হাফসেঞ্চুরি ও রেজার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩৮ বল হাতে রেখেই জয় পায় তারা। ১০৮ বল খেলে ৭টি চারের সাহায্যে সাইফ করেন ৫৫ রান। ছোট লক্ষ্য হলেও ঝড় তুলতে ছাড়েননি রেজা। ২৪ বলে অপরাজিত ৪১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৮.১ ওভারে ১৬৯ (রুবেল ০, বিজয় ৫, ওঝা ০, আল-আমিন ৩২, কাপালী ৬১, নাহিদুল ৪, আরিফুল ২৭, নাঈম ৩, মনির ২৩, রাজ্জাক ০, আল-আমিন হোসেন ২*; রেজা ৪/২২, মানিক ২/২৮, সানি ১/৩৬, জাকারিয়া ০/২৮, তাইবুর ২/১০)।
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৩.৪ ওভারে ১৭২/৩ (সাইফ ৫৫, জসীমউদ্দিন ২১, ফরহাদ ২২, মার্শাল ২৫*, রেজা ৪১*; আল-আমিন হোসেন ০/৩১, আরিফুল ১/২৭, মনির ১/২৩, রাজ্জাক ০/৩৩, নাঈম ১/২৮, কাপালী ০/৮, নাহিদুল ০/১৯)।
ফলাফল: প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফরহাদ রেজা (প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব)।
Comments