যুবলীগ নেতা ও স্টেশন মাস্টারের মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল

yaba
ইয়াবা মাদকের ফাইল ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার এক যুবলীগ নেতা এবং ভানুগাছ রেল স্টেশন মাস্টারের মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি মৌলভীবাজারজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছবিটির একজন কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শায়েক আহমেদ এবং অন্যজন ভানুগাছ রেল স্টেশন মাস্টার সাহাবুদ্দীন ফকির। এদের মধ্যে যুবলীগ নেতা মাদক গ্রহণের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তার দাবি, ছবিটি দুই বছর পুরনো। শত্রুতাবশত এখন ছবিটিকে সামনে আনা হয়েছে।

মাদক সেবনের ছবিটি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। তবে ছবিটি ঠিক কবে তোলা হয়েছে তা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, এই দুইজন প্রায় প্রতি রাতেই রেল স্টেশনে এবং এর আশপাশে মাদকের আসর বসাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে থাকা কেউ একজন গত ১২ এপ্রিল ইয়াবা সেবনের ছবিটি আপলোড করেন।

মাদক সেবনের ছবি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ১৩ এপ্রিল বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসে স্থানীয় যুবলীগ। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও করেছেন তারা। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে রেল স্টেশনের অফিসে বসে মাদক সেবনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সাহাবুদ্দীন ফকির নিরুদ্দেশ হয়েছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

যুবলীগ নেতা শায়েক আহমেদ ইয়াবা সেবনের ছবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এই ছবিটি দুই বছর আগের। কিন্তু শত্রুতা বসত ছবিটি এখন ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে।

কমলগঞ্জ যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ জানান, শায়েক আহমেদ স্থানীয় যুবলীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা। বিষয়টি সামনে আসার পর জেলা যুবলীগের পরামর্শে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছি আমরা।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, ছবিটি অনেক পুরাতন। তবে সম্প্রতি এমন কিছু ঘটে থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নিত।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার এস আই ইসমাইল হোসেন বলেন, শুনেছি সাহাবুদ্দীন ফকির স্টেশনে নেই। তার পরিবারের কেউ রেলওয়ের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

12h ago