সৌম্যের তাণ্ডবের জবাব দিলেন কেবল তরুণ নাঈম
বেশ কয়েকদিন রান পেতে ধুঁকতে থাকার পর বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সব আলো শুরুতেই কেড়ে নিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। পর্বত সময় রান তাড়ায় তরুণ মোহাম্মদ নাঈমও করলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। কিন্তু আর কারো সঙ্গ না পাওয়ায় বিফলে গেল তা।
বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ১০২ রানে গুঁড়িয়ে শিরোপা দৌঁড়ে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। এই জয়ে ১৫ ম্যাচ পর সমান ২৪ পয়েন্ট আবাহনী আর রূপগঞ্জের। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জেতায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেল আকাশী-নীলরা।
লিগ শিরোপা নির্ধারণে এই ম্যাচের দিকেই আগ্রহ ছিল সবার। তবে প্রথম লেগে জেতা রূপগঞ্জ এবার একদমই পাত্তা পেল না। সৌম্যের ৭৯ বলে ১০৬ আর মোহাম্মদ মিঠুনের ৩৪ বলে ৬৪ রানে ৩৭৭ রান করে ফেলেছিল আবাহনী। জবাবে ওপেনার নাঈম ১২৩ রানে অপরাজিত থেকে গেলেও তার দল ৫০ ওভারে করেছে ২৭৫ রান।
৩৭৮ রানের পর্বত ডিঙানোর পথে কখনই হাঁটেনি রূপগঞ্জ। মেহেদী মিরাজ আর মাশরাফি মর্তুজার আঘাতে ৮৬ রানেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। এক প্রান্তে আগলে খেলতে থাকা নাঈমের সঙ্গে ঋষি ধাওয়ান আর মোহাম্মদ শহিদ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লে তা জেতার জন্য ছিল না পর্যাপ্ত। ১৩৫ বলে ১৩ চার আর ২ ছক্কায় ১২৩ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে কেবল চেনানে পেরেছেন নাঈম।
এর আগের পুরোটা আলো ছিল সৌম্যের। দারুণ ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ব্যাট করতে নেমেই শুরু করেন ঝড়। জহুরুল ইসলামকে নিয়ে ২৪ ওভার ২ বল স্থায়ী ওপেনিং জুটিতেই চলে আসে ১৬৯ রান। যার মধ্যে ১০৬ রানই সৌম্যের। ৭৯ বলের ইনিংসে ১৫ চার আর ২ ছক্কা মেরেছেন, অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকেই ৭২ রান তুলেছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের অন্যতম এই তারকা।
সৌম্যকে সঙ্গ দিয়ে চলতে থাকা জহুরুল পরে করেন ৭৫ রান। মাঝের ওভারে ওয়াসিম জাফরের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৪৬ রান। তবে শেষ দিকটায় রাঙিয়েছেন মিঠুন। মাত্র ৩৪ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আবাহনী পায় এবারের লিগের সর্বোচ্চ রান। যা টপকানোর ধারে কাছে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি রূপগঞ্জের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভারে ৩৭৭/৭ ( সৌম্য ১০৬, জহুরুল ৭৫, মিঠুন ৬৪ ; তাসকিন ২/৫৭ (৫ ওভার), শহীদ ২/৬২ (ওভার))
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ২৭৫/৭ (নাঈম ১২৩, শহিদ ৫৩ ; মিরাজ ৩/৬৫, মাশরাফি ২/২০)
ফল: আবাহনী লিমিটেড ১০২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌম্য সরকার।
Comments