তবু আফসোস সৌম্যের

এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সৌম্য সরকারের ব্যাটে রান খরা ছিল ভীষণ। আগের ১১ ম্যাচে সব মিলিয়ে মোটে করেছিলেন ১৯৭ রান। বিশ্বকাপ দলে থাকায় তার এমন ছন্দহীন হয়ে যাওয়া উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের, আসছিল তেতো কথাও। এবার সব অস্বস্তি এক ঝাপটায় দূরে সরিয়ে দেওয়ার মতো এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। নিজের দরকার, দলের প্রয়োজনে মেলেছেন ডানা। তবে ম্যাচ শেষে জানালেন এতেও রয়ে গেছে আক্ষেপ।
Soumya Sarkar
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সৌম্য সরকারের ব্যাটে রান খরা ছিল ভীষণ। আগের ১১ ম্যাচে সব মিলিয়ে মোটে করেছিলেন ১৯৭ রান।  বিশ্বকাপ দলে থাকায় তার এমন ছন্দহীন হয়ে যাওয়া উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের, আসছিল তেতো কথাও। এবার সব অস্বস্তি এক ঝাপটায় দূরে সরিয়ে দেওয়ার মতো এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। নিজের দরকার, দলের প্রয়োজনে মেলেছেন ডানা। তবে ম্যাচ শেষে জানালেন এতেও রয়ে গেছে আক্ষেপ।

রোববার বিকেএসপিতে ৭১ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান সৌম্য। আউট হন ৭৯ বলে ১০৬ রান করে। ১৫ চার আর ২ ছক্কার ইনিংসে ৭২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। তার এমন ক্ষ্যাপে উঠার দিন ৩৭৭ রান করে ১০২ রানে জিতেছে আবাহনী। এগিয়ে গিয়েছে শিরোপার দিকে।

২৪.২ ওভারে সৌম্য যখন আউট হন দলের রান তখন ১৬৯, যার ১০৬ রানই করেন তিনি। ব্যাটে বল আসছিল। ঝঙ্কার তুলতে পারছিলেন দারুণ সব শটে। কিন্তু অমন উইকেটে আরও বেশি সময় খেলতে না পারার আফসোস পোড়াচ্ছে তাকে,  ‘আজ হয়তো বা শুরুটা ভালো হয়েছে। চেষ্টা করেছি একটা বড় ইনিংস খেলার। তারপরও অনেক দ্রুত আউট হয়ে দিয়েছি, ২৪ ওভারের সময়। যদি থাকতে পারতাম তাহলে আরও বড় ইনিংস খেলতে পারতাম।’

বড় ইনিংস খেলার জন্যই ট্রেডমার্ক সৌম্যের। লম্বা সময় ধরে মেরে খেলতে পারেন বলে তার উপর অনেক বাজি ধরেন কোচ-অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডে টেস্টে আগ্রাসী মেজাজে ১৪৯ রানের ইনিংসেও কদিন আগেই বুঝিয়েছিলেন তা। তবে দেশে ফিরে ফের ত্রিশের ঘরে ডুবে মরার পুরনো রোগ পেয়ে বসলে নিজের চিন্তা, সবার চিন্তা বাড়িয়েছিলেন তিনি। বললেন এই সময়ে নিজের মনের ভেতরেও বাড়ছিল প্রশ্নের স্রোত,  ‘চাপ বলতে, নিজের কাছে খারাপ লাগা ছিল। নিজে রান করতে পারছি না। কিছুদিন আগে জাতীয় দলে রান করে আসছি। নিজের কাছে খারাপ লাগছিল ওইখানে রান করে এসে এখানে রান করছি না। একটু চাপও কাজ করছিল, যে  কি ভুল করছি। এই গুলো নিয়ে নিজের ভেতরে অনেক প্রশ্ন ছিল। স্কিলের পাশাপাশি কেনো এমন হচ্ছে দেখছি।’

‘প্রিমিয়ার লীগে যতগুলো ম্যাচ খেলেছি আমি ভালো করি নি। তারপরও টিম ম্যানেজমেন্ট খেলিয়েছে। আমারও একটা চিন্তা ছিল আজকে বড় ম্যাচ, বড় ম্যাচে যদি কিছু করতে পারি, তাহলে আমার নিজের কাছেও ভালো লাগবে, দলেরও অনেক উপকার হবে।’

খেলার ধরণে কোন বদল আনেননি, দলের চাহিদায় আনতেও চান না। কেবল ঘরে গিয়ে আউটগুলো নিয়ে আলাদা করে ভাবছেন সৌম্য, ‘একদিনে তো আর কেনোর উত্তর পাওয়া যাবে না। যে গুলো আউট হচ্ছি সেগুলো নিয়ে বাসায় গিয়ে চিন্তা করা, আমি ভিন্ন কিছু করতে পারতাম কিনা। আগের যেই ভিডিও গুলো ছিল, সেগুলো দেখেছি। এই বল গুলোয় আমি ওইখানে কি খেলেছি, এখানে কি খেলছি।’

মাথা ঠাণ্ডা করে ভুল নিয়ে সৌম্যের এমন একাগ্র ভাবনায় তার নিজের লাভ তো বটেই, তার ভুল কমে এলে বিশ্বকাপে বড় লাভ হতে পারে বাংলাদেশেরই।

Comments