তবুও অতৃপ্ত কৃষ্ণা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আরব আমিরাতকে এর আগে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে তিন ম্যাচে মোট ১৭টি গোল দিয়েছিল বাংলাদেশ। সে দলের অধিনায়ক ছিলেন কৃষ্ণা রানি সরকার। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে নেতৃত্ব হয়তো হারিয়েছেন। কিন্তু এখনও ফরোয়ার্ড লাইনের প্রধান অস্ত্র। এদিন ঠিক সময়ে জ্বলেও উঠলেন। তাতে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু তারপরও অতৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন কৃষ্ণা।

এদিন পুরো ম্যাচেই একচ্ছত্র দাপট ছিল বাংলাদেশেরই। মুহুর্মুহু আক্রমণ। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পেরেছে মাত্র দুই বার। তার চেয়েও সহজ সুযোগ পেয়েও হয়নি। গোলরক্ষককেও একা পেয়েছেন একাধিক খেলোয়াড়, বহুবার। নিজেও মিস করেছেন কৃষ্ণা। তাই কিছুটা খারাপ লাগছে তার। ম্যাচ শেষে তাই অকপটেই বললেন, ‘(খারাপ লাগছে) মিস করেছি, অফসাইডও হয়েছি অনেকবার।’

সবমিলিয়ে ম্যাচের ফলাফল যদি ১০-০ কিংবা তারচেয়েও বেশি হতো খুব একটা অস্বাভাবিক হতো না। হয়নি। এমনকি হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন কৃষ্ণা। পেতে পারতেন সিরাত জাহান স্বপ্নাও। কিন্তু এর জন্য কিছুটা দুর্ভাগ্যকেও দায় দিচ্ছেন কৃষ্ণা, ‘যে গুলো গোল হতে পারতো…আমার কপালে আসার কথা। হয়তো আমি আগে এসে পড়েছি কিংবা পিছিয়ে ছিলাম।’

তবে কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন অবশ্য খুব একটা অসন্তুষ্ট নন। তার চাওয়া ছিল আক্রমণাত্মক ফুটবল ও জয়। দুটোই মিলেছে। কোচের কথা রাখতে পেরে তাই স্বস্তি পেয়েছেন কৃষ্ণা, ‘যখন আমি মাঠে নামি, গোল করবো এটি থাকে আমার চেষ্টা। স্যাররা যেভাবে বলছে আমি সে মোতাবেকই খেলেছি। চেষ্টা করেছি, গোল করেছি, সব মিলে ভালো লাগছে।’

অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে শেষবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলেছেন কৃষ্ণা। এরপর আর এ মাঠে খেলা হয়নি তার। বয়স বেড়ে যাওয়ায় সে দলের সদস্য নন তিনি। দীর্ঘদিন পর আবার খেললেন এ মাঠে। এবং ফিরেই ম্যাচসেরা। তাই আনন্দটা একটু বেশিই কৃষ্ণার, ‘ধন্যবাদ যারা এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছেন। (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে) অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। খেলতে পেরেছি আবার ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছি। আমি গর্বিত।’

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance jumps 32% in May

Migrants sent home $2.97 billion last month

5m ago