‘কারাগারে আরেক জাহালম’, নিশ্চিত হতে হাইকোর্টের রুল

মিরপুরের বেনারসি পল্লীর কারিগর মো. আমরান হোসেনকে বেআইনিভাবে কারাবন্দী রাখা হয়নি তা নিশ্চিত করতে কেন তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
supreme court
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

মিরপুরের বেনারসি পল্লীর কারিগর মো. আমরান হোসেনকে যে বেআইনিভাবে কারাবন্দী রাখা হয়নি তা নিশ্চিত করতে কেন তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

অভিযোগ উঠেছে, জাহালমের মতোই নির্দোষ হয়েও আমারান একইভাবে কারাগারে রয়েছেন। ভুল ব্যক্তি হয়ে মাদকের মামলায় দণ্ডিত হয়ে তিন বছর ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন, অথচ প্রকৃত দোষী মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

আমরানকে আটকে রাখা কেন বেআইনি হবে না ও এর জন্য কেন তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারও জবাব চেয়েছেন আদালত।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রুলসহ এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ওই মামলার যাবতীয় নথিপত্র সাত দিনের মধ্যে পাঠাতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই ব্যাপারে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

তিনি বলেন, মাদক মামলায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে আমরানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু ওই মামলার প্রকৃত আসামীর নাম শাহাবুদ্দীন বিহারী। এই দুজনেরই বাবার নাম মো. ইয়াসিন। পাটকল শ্রমিক জাহালমের সঙ্গে যা ঘটেছিল আমরানের সঙ্গেও তাই হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে জাহালম মুক্তি পেয়েছেন।

Comments