সাকিবের হতাশার আইপিএলে দুই ভালো দিক রোডসের
চোট থেকে ফিরেই এবার আইপিএলে গিয়ে নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা হয় সাকিব আল হাসানের। প্রথম ম্যাচ খেলেই ছিটকে যান একাদশ থেকে। একে একে আট ম্যাচ বাইরে বসে থাকার পর ফেরেন একাদশে। বিশ্বকাপের আগে এতে তার ম্যাচ অনুশীলনে কিছুটা ঘাটতি হলেও দুটি ভালো দিকও দেখছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
বিপিএলে চোটে পড়ে নিউজিল্যান্ড সফরে যেতে পারেননি সাকিব। চোট সেরে ফিরে সরাসরি খেলতে যান আইপিএলে। সানরাইজার্স হায়দারবাদের প্রথম ম্যাচে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। তেমন কিছু করতে না পারায় সেই যে বাদ পড়েন আর পরের আট ম্যাচেও জায়গা হয়নি। একাদশ জায়গা না পাওয়ার হতাশা থেকে দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন ২২ এপ্রিলেই। কিন্তু সানরাইজার্সের অন্য বিদেশীরা চলে যাওয়ায় খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয় তার।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দলের দশম ম্যাচে একাদশেও ফেরেন সাকিব। বিশ্বকাপের আগে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের অনুশীলনটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন রোডস। সার্বিক পরিস্থিতিতে জানিয়েছেন নিজের সন্তুষ্টি, ‘সাকিবের ওখানে থাকার একটাই কারণ যদি দু’একটা ম্যাচ পায়। সেদিন একটা ম্যাচে নেমেছে। আশা করছি দুই-তিনটা খেলা পাবে। খেলতে না পারলে ঠিকমতো অনুশীলন হচ্ছে কিনা এই নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম, কিন্তু না সে সেখানে ভালোভাবেই অনুশীলন করতে পারছে । সেদিন টিভিতে দেখলাম সে খুবই স্বচ্ছন্দ ছিল। দেখে ফিট মনে হয়েছে। ফিল্ডিংয়ে গতিময় ছিল। আমি খুশি, আরও খুশি হবো যদি সে আরও ম্যাচ খেলতে পারে। ’
ম্যাচ আরও বেশি খেললে ভালো হতো। কিন্তু ম্যাচ কম খেলাতেও রোডসের মতে আছে ভালো দিক। সাকিবের মতো বিশ্ব ক্রিকেটের এরকম শীর্ষ তারকার এতগুলো ম্যাচ বাইরে বসে থাকায় তৈরি হবে জেদ, মাঠে নামার, ভালো করার ক্ষীপ্রতা। রোডসের মনে করছেন যা বিশ্বকাপে উপকৃত করবে বাংলাদেশকে, ‘এখানে দুটো ভালো দিক আছে (বাইরে বসে থাক্র)। প্রথমত ক্রিকেট খেলার জন্য তার ক্ষিদেটা আরও বাড়লো। অন্যদিক দিয়ে দেখলে সাকিব সানরাইজার্সের মতো দলে জায়গা পায়নি, এটা তাকে বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে, নিজের সামর্থ্য প্রমাণে উৎসাহিত করবে। আমার মনে হয় এই কারণে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।’
Comments