বিএসএফ এর নৃশংসতা

বাংলাদেশি এক তরুণের হাতের ১০টি আঙুলেরই নখ উপড়ে নিয়ে পাশবিক কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। নওগাঁর সীমান্তবর্তী ভারতের মালদা জেলার রাঙামাটি ক্যাম্পে তাকে এই অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় তিন দিন আটকে রাখা হয়।
আজিম উদ্দিনের হাতের সবগুলো নখ উপড়ে নিয়েছে বিএসএফ। ছবি: স্টার

বাংলাদেশি এক তরুণের হাতের ১০টি আঙুলেরই নখ উপড়ে নিয়ে পাশবিক কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। নওগাঁর সীমান্তবর্তী ভারতের মালদা জেলার রাঙামাটি ক্যাম্পে তাকে এই অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় তিন দিন আটকে রাখা হয়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আজ নির্যাতিত তরুণকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার নাম মো. আজিম উদ্দিন ওরফে ভুট্টো। ২৫ বছরের এই তরুণের বাড়ি সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তী তুলসিডাঙ্গা দক্ষিণ পাতারি গ্রামে।

১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে দুপক্ষের বৈঠকের মাধ্যমে ভোর ৫টার দিকে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

তিনি আরও জানান, যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। এ ব্যাপারে আগামীকাল রোববার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ফিরিয়ে আনার পর আজ সকাল ১১টার দিকে আজিমকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুজ্জামান বলেন, খুব খারাপ অবস্থায় আমরা তাকে পেয়েছি। তার পরনের টি-শার্ট ও লুঙ্গি রক্তে ভিজে ছিল। উপড়ানো নখ ছাড়াও তার প্রায় সারা শরীরে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পুরনো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে তার বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যাবে।

নির্যাতিত আজি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গরু পাচারের উদ্দেশ্যে আরও তিন জনের সঙ্গে গত ২৫ এপ্রিল সীমান্ত টপকে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। একই রাতে দেশে ফেরার সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। অন্য তিন জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও সে ধরে পড়ে যায়। এর পরই ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চলে।

বিজিবি সূত্রগুলো বলেছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার অভিযোগে সাপাহার থানায় আজিমের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিজিবি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago