মেসির গোলেই চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
চলতি আসরের লা লিগা শিরোপা শিরোপা প্রায় নিশ্চিত ছিল অনেক আগেই। তবে আগের দিন নিশ্চিত হলো কাগজে কলমে। শিরোপা ধরে রাখতে লেভেন্তের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার। আর কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে স্প্যানিশ লীগে ২৬তম শিরোপা জিতে নেয় কাতালান দলটি। শেষ ১১টি আসরে এটি বার্সেলোনার অষ্টম শিরোপা। আর দশম লীগ শিরোপা জিতলেন মেসি।
তিন দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা পুনরুদ্ধারে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তাই এদিন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে বিশ্রামে রেখেই মাঠে নেমেছিল দলটি। কিন্তু সুবিধা করে উঠতে পারেনি। প্রথমার্ধে গোল আদায় করে নিতে পারেননি সুয়ারেজ-কৌতিনহো-দেম্বেলেরা। তাই দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামতে হয় মেসিকে। ন্যু ক্যাম্পে মেসির একমাত্র গোলেই লেভান্তেকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগা শিরোপা ধরে রাখে বার্সা। অথচ লেভেন্তের মাঠে তাদের ৫-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। সে ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মেসি।
তবে মেসিকে ছাড়া খারাপ খেলেনি বার্সেলোনা। দারুণ কিছু আক্রমণ করেছিলেন। কেবল ফিনিশিংটাই দিতে পারেননি। ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই গোল হতে পারতো দুটি। সুয়ারেজ ও কৌতিনহোকে গোলবঞ্চিত করেন আইতোর ফের্নান্দেজ। ২৫তম মিনিটে জর্দি আলবার জোরালো শটও ঠেকিয়ে দেন দারুণ দক্ষতায়। তবে ভাগ্যও সহায়তা করে দলটিকে। নুতবা ৪১তম মিনিটে কৌতিনহোর দুর্দান্ত ফ্রিকিক প্রতিহত হয় বারপোস্টে লেগে। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মেসিকে মাঠে নামান কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে। আর তার ফল পেতে দলকে অপেক্ষা করতে হয় ১৭ মিনিট। ৬২ মিনিটে ডি বক্সে আর্তুরো ভিদালের পাসে বাড়ানো বলে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের মাপা শটে লক্ষ্যভেদ করেন পাঁচ বারের ব্যলন ডি'অর জয়ী এ তারকা। চলতি আসরে এটা তার ৩৪তম গোল।
তবে দুই মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারতো লেভান্তে। সে যাত্রা দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান। লেভান্তে অধিনায়ক হোসে মোরালেসের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেলেও বল জালে জড়াতে পারেননি বোরহা মায়োরাল। তিন মিনিট পর মোরালেস গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু ফাঁকায় থেকেও উড়িয়ে মারলে সে যাত্রা বেঁচে যায় কাতালানরা।
শেষ দিকেও ভালো দুটি সুযোগ পেয়েছিল লেভান্তে। কিন্তু টের স্টেগানকে পরাস্ত করতে পারেনি দলটি। ৮৯তম মিনিটে লেভান্তে ফরোয়ার্ড এনাস বার্সির শট টার স্টেগানকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় বারপোস্টে। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে শিরোপাধারীরা।
Comments