শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা তদন্তের নির্দেশ
মোবাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘চোর’ অভিহিত করে গালিগালাজ করার অভিযোগে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা রমনা থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর মামলাটি আমলে নিয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগ তদন্ত করে ১৬ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর অভিযোগ, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে পর্যটন বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘বিন্দু-৩৬৫’ উদ্বোধনকালে সংবাদকর্মীসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য মানুষের উপস্থিতিতে শমী কায়সার তার দুটি স্মার্ট ফোন খোয়া গেছে মর্মে অভিযোগ করেন।
সেখানে শমী কায়সার সাংবাদিকদের চোর বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের আটকে রাখেন এবং তার দেহরক্ষীরা সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে শমী কায়সার আধা ঘণ্টা গেটে দাঁড়িয়ে থেকে সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশি করান।
শমী কায়সারের নির্দেশে তার নিরাপত্তাকর্মীরা মিলনায়তনের মূল ফটক বন্ধ করে দেন। সাংবাদিকদের কয়েকজন দেহ তল্লাশি শেষে বের হতে চাইলে আটকে রেখে তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান আরও অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা দেশের সাংবাদিকদের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক। তার এরকম আচরণ বাদী ও সাংবাদিক সমাজের ১০০ কোটি টাকার মানহানি করেছে।
আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান বলেন, বাদী গত ২৭ এপ্রিল থানায় মামলা করতে যান। পুলিশ মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
Comments