ভারতে মাওবাদী হামলায় ১৫ জন নিহত

ভোটের আবহেই বড়সড় মাওবাদী হানার ঘটনায় ভারতের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। আজ (১ মে) সকালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য মহারাস্ট্রের গড়চিরৌলি জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম এটিকে মাওবাদীদের হামলা বলে দাবি করেছে।
Maoist attack
১ মে ২০১৯, মাওবাদীদের হামলায় কুইক রেসপন্স টিমের কমান্ডোদের দুটি গাড়ি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

ভোটের আবহেই বড়সড় মাওবাদী হানার ঘটনায় ভারতের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। আজ (১ মে) সকালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য মহারাস্ট্রের গড়চিরৌলি জেলায় এই  হামলার ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম এটিকে মাওবাদীদের হামলা বলে দাবি করেছে।

যদিও নিহতের সংখ্যা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি। কোনো কোনো গণমাধ্যম এই ঘটনায় ব্ল্যাক কমান্ডো বাহিনীর ১৫ জন সদস্যদের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। আবার কোনো সংবাদমাধ্যম বলছে ১০ জন। তবে কমান্ডোর গাড়িরচালকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছে সব পক্ষই।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার তীব্র নিন্দার পাশাপশি এই ধরনের হামলাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর দাবি, আজ সকালে নজরদারি চালানোর সময় নিরাপত্তারক্ষীদের কনভয় টার্গেট করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। ফলে দুটি গাড়ি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ‘সি-৬০’ ইউনিটের কমান্ডোদের অনেকেরই। এতে  গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজনও। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, গতরাত থেকে ওই এলাকার ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে নির্মাণ কাজের জন্য আনা প্রায় ২৭টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা। এদিন সেই জায়গাতেই পাঠানো হয়েছিলো কুইক রেসপন্স টিমের ওই কমান্ডোদের। টিমের সদস্যরা কুড়খেডা থেকে যাচ্ছিলেন। গাড়িটিতে প্রায় ৬০ জন কমান্ডো ছিলেন। সেই গাড়ি যাওয়ার সময় স্থানীয় জাম্বোরখেডা ও লেন্ডহারির মাঝে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা।

এ ঘটনায় মহারাষ্ট্র জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ভারতজুড়ে চলছে দেশটির ১৭তম জাতীয় নির্বাচন। ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখনো বাকি রয়েছে ৩ দফা। নিরাপত্তাবাহিনী মুলত ভোটের নিরাপত্তার কাজে সেখানে কর্তব্য পালন করছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago