ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: খুলনা, সাতক্ষীরা অঞ্চলে প্রস্তুতি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় জেলা খুলনা এবং সাতক্ষীরায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আমাদের খুলনা সংবাদদাতা জানান, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে একটি এবং জেলার নয়টি উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এছাড়াও, জেলায় ২৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল (৩ মে) আঘাত হানার আগে লোকজন নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দূর্গত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণের জন্যে ২৫৬ মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ ৩২ হাজার নগদ টাকা, ২০৪ বান্ডিল টিন এবং শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, জেলার ১৩৭টি সরকারি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি এবং কালীগঞ্জে লাউডস্পিকার দিয়ে লোকজনদের সতর্ক করা হচ্ছে এবং প্রতিটি সেখানকার ইউনিয়নে বিপদ সংকেত হিসেবে লাল পতাকা উঠানো হয়েছে।
ত্রাণ হিসেবে ১১৬ মেট্রিক টন চাল, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, খাওয়ার পানি এবং গৃহনির্মাণ সামগ্রী জোগার করে রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
Comments