পে'কে নিয়েই যতো দুশ্চিন্তা
আসরের শুরু থেকেই দারুণ গোছানো ফুটবল খেলছে লাওস। আর তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিডফিল্ডার পে। তিন ম্যাচেই যার আট গোল। একজন খেলোয়াড়ের পরিসংখ্যান এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে। সে খেলোয়াড় নিঃসন্দেহে আগামীকাল বাংলাদেশের মেয়েদের শিরোপা জয়ের প্রধান বাধা। পে'কে নিয়ে তাই দুশ্চিন্তার শেষ নেই বাংলাদেশ শিবিরে। তাকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করছেন বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন।
তবে শুধু পে'ই যে ভয়ঙ্কর হবেন তাও নয়, পুরো আসরে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দারুণ খেলে চলেছেন অধিনায়ক আপাসালা ও সায়সামনিও। তাই এ খেলোয়াড়দের উপর আলাদা নজর রাখতেই হচ্ছে বাংলাদেশকে। সংবাদ সম্মেলনে ছোটন বললেন এমনটাই, 'লাওসের কোন দুর্বলতা নাই। ওদের সব জায়গাতেই ভালো। ওদের বেশ কিছু মেধাবী খেলোয়াড় রয়েছে। আলাদা পরিকল্পনা তো থাকবেই। কারণ পে এরমধ্যেই আট গোল করেছে। ওদের অধিনায়কও ভালো খেলোয়াড়। ১৬ নাম্বারও ভালো খেলোয়াড়। এদের তো নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা, আলাদা নজর থাকবেই।'
তবে লাওস যতো শক্তিশালী হোক না কেন নিজেদের কোন মতেই ছোট করে দেখছেন না ছোটন। এমনকি ঘরের মাটি, নিজেদের দর্শক থাকাই ফেবারিট মানছেন বাংলাদেশকেই। ছোটনের ভাষায়, 'আমাদের মেয়েরা কাল প্রমাণ করবে ওরাও ভালো। সব ম্যাচেই মেয়েরা একই ধারা ফুটবল খেলেছে। প্রথম মিনিট থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত। আমরা আমাদের খেলার মধ্যেই থাকব। তবে অবশ্যই ওদের নিয়ে আমাদের কিছু আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে।'
নিজেদের তিন ম্যাচে ১৭টি গোল দিয়েছে লাওস। খেয়েছে মাত্র ১টি। অন্যদিকে বাংলাদেশ তিন ম্যাচে দিতে পেরেছে ৭টি গোল। খেয়েছে ১টি। লাওসের তুলনায় বেশ পিছিয়ে। তবে পার্থক্যটা ছিল ফিনিশিংয়েই। লাওসের মতো প্রতি ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশও। গোল পায়নি কেবল ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। অন্যদিকে ফিনিশিংয়ে লাওস দুর্দান্ত। কারণ দুর্দান্ত ছন্দে যে রয়েছেন পে।
আর কতটা ভয়ঙ্কর পে, তা এর আগে টের পেয়েছে তাজিকিস্তান, মঙ্গোলিয়া ও কিরগিজস্তান। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারার পর মঙ্গোলিয়ান কোচ কাওয়ামুতুও বাংলাদেশকে সাবধান করে দিয়েছিলেন ওই পে'র ব্যাপারে। তার মতে পে'কে আটকাতে না পারলে ভুগতে হতে পারে মৌসুমিদের। আর লাওসের কাছে সেমি-ফাইনালে হারের পর কিরগিজস্তান কোচ নাতালিয়া তো বলেই দিয়েছেন পে একাই তাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন।
Comments