আফ্রিদিকে ভারতে ডেকে মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে চান গম্ভীর

আত্মজীবনীতে নিজের বয়স পাঁচ বছর চুরি করার ব্যাপার ফাঁস করে আলোচনা জমিয়ে তুলেছিলেন শহিদ আফ্রিদি। কেবল ওটাই নয়, সেই বইতে ভারতীয় গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে লিখেছেন তেতো কথা। গম্ভীরও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। আফ্রিদির মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

নিজের আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ বইতে ২০১০ সালের স্পট সালমান বাট , মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরদের ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নিয়েও স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ টেনেছেন আফ্রিদি। কঠোর সমালোচনা করেছেন ওয়াকার ইউনুস, গৌতম গম্ভীরের।

গম্ভীরের ব্যাপারে তার বইতে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘কিছু লড়াই ব্যক্তিগত, কিছু পেশাদার। তার (গম্ভীর) কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। ভালো কোনো রেকর্ড নেই, শুধু আচরণগত সমস্যা আছে। করাচিতে আমরা এ ধরনের মানুষকে “সারইয়াল”(হিংসুটে, ঝগড়াটে) বলি। আমি সুখী ও ইতিবাচক মানুষ পছন্দ করি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু আপনাকে ইতিবাচক থাকতে হবে, গম্ভীর তেমন নয়।’

এই কথা জানার পরই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন গম্ভির। রীতিমতো আফ্রিদিকে মানসিক রোগী ঠাওরে চিকিৎসা নিতে আহবান করেছেন তিনি, ‘আফ্রিদি, তুমি হাস্যকর মানুষ মানুষ! যাইহোক, আমরা (ভারত) চিকিৎসার জন্য এখনো পাকিস্তানিদের ভিসা অনুমোদন দিই। তুমি এলে আমি ব্যক্তিগতভাবে তোমাকে একজন মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাব।’

এর আগে বেরিয়ে আসে আফ্রিদি তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন তার প্রকৃত জন্ম আসলে ১৯৭৫ সালে, যদিও পিসিবির অফিসিয়াল নথিতে সেটা ১৯৮০। অর্থাৎ পাক্কা পাঁচ বছর কমিয়ে ক্রিকেট খেলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।