‘ফণী’-তে মোট প্রাণহানি ১৪

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-তে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৪ জন। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। আজ (৫ মে) নৌচলাচল আবার শুরু হয়েছে।
Fani
৪ মে ২০১৯, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বেড়ীবাঁধ এলাকা থেকে তোলা। ছবি: রাজীব রায়হান

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-তে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৪ জন। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। আজ (৫ মে) নৌচলাচল আবার শুরু হয়েছে।

আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশে বাংলাদেশর উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।

গতকাল সকালে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানায় আগের ঝড়গুলো যেমন- ‘সিডর’ বা ‘আইলা’-র মতো বড় ধরনের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।

গত ৩ মে সকাল ভারতের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় রাজ্য উড়িষ্যায় ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে প্রবল শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। কেননা, ২০০৭ সালের ‘সিডর’ এবং ২০০৯ সালের ‘আইলা’-র স্মৃতি তাদের মনে এখনো পরিষ্কার রয়ে গেছে।

‘সিডর’-এ প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩ হাজারেরও বেশি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। অপরদিকে, ‘আইলা’ কেড়ে নিয়েছিলো অন্তত ১২১ জনকে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ।

আমাদের জেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে জানা যায়, ‘ফণী’র হামলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ১৪ জনের। তাদের মধ্যে দুইজন শিশু। বরগুনা, নোয়াখালী এবং পটুয়াখালীতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে গাছ পড়ে ও দেয়াল ধসে। গত ৩ মে বিভিন্ন জেলায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাত ও গাছ পড়ে।

এছাড়াও, ঝড়ে ফসলহানি হয়েছে ৫৩ হাজার একর জমির। সেই সঙ্গে পুরোপুরি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ হাজার ঘরবাড়ি।

ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে। দেশের খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলে ১০ ঘণ্টা অবস্থান করে ‘ফণী’ চলে যায় ভারতের উত্তরপূবাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের দিকে।

আরও পড়ুন:

৫৩ হাজার একর জমিতে ফসলহানি ঘটিয়েছে ফণী

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago