‘জয় শ্রীরাম’ ‘ফণী’ ইস্যুতে মমতার কঠোর সমালোচনা মোদির

ঘটনা দু’দিন আগের। মেদিনীপুরে দলীয় প্রার্থী অভিনেতা দেবের হয়ে নির্বাচনী পদযাত্রা শেষে গাড়িতে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় কিছু গ্রামের মানুষ ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাতেই মেজাজ হারান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চালককে গাড়ি থামতে বলেন। গাড়ি থেকে নেমেই জয় শ্রীরাম যারা বলছিলেন, তাদের তাড়া করেন।

শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী ওই সময় বলেন, জয় শ্রীরাম বলছিস, কাছে এসে বল, দেখি কত সাহস আছে তোদের।

ওই ঘটনা কিন্তু সেখানেই থেমে যায়নি। বরং মুখ্যমন্ত্রী যে চরম ক্ষুব্ধ সেটা টের পেয়ে রাজ্য পুলিশ ওই সময় জয় শ্রীরাম বলে যারা স্লোগান তুলেছিলেন, তাদের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তারও করে।

আর তাতেই শুধু রাজ্য রাজনীতি নয় বরং গোটা ভারতে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন মমতা।

‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানটি বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রে। আপাত ধর্মীয় মনে হলেও বিজেপির নেতা-কর্মীরা তাদের সভা-সমাবেশে নিয়মিতই এই শ্লোগান দিয়ে থাকে। এ থেকেই এটি ধর্মের গণ্ডি ছাড়িয়ে পুরোদস্তুর এখন একটি রাজনৈতিক স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে মেদিনীপুরের নির্বাচনী সভায় এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। এদিন মোদি বলেন, এই রাজ্যে জয় শ্রীরাম বললে মানুষকে জেলে যেতে হচ্ছে।

মমতাকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আসলে তিনি গদি হারানোর ভয় করছেন। তাই ভগবান রামের কথা শুনলেও তার এমন মনে হচ্ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফণী ইস্যুতেও রাজনৈতিক খোঁচা দেন মোদি। বলেন, দুই বার মমতা দিদি ফোন করা হয় কিন্তু তিনি ধরেননি।

ফণী পরিবর্তী রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে খোঁজ খবর নিতে প্রধানমন্ত্রী উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। কিন্তু পর পর দুই বারই ব্যস্ত থাকার কথা বলে ফোন এড়িয়ে যান মমতা। অন্তত এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।

এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার না করলেও মমতা সোমবার অপর একটি নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে উল্টো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। বলেন, এর আগেও বহু সমস্যা নিয়ে আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাইনি।

মমতা এদিনও বিজেপির বিরুদ্ধে দেশে দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগ করেন। অভিযোগ তোলেন বিমুদ্রাকরণ নীতি নিয়েও।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

9h ago