সেই সুয়ারেজ এখন বলছেন ভিন্ন কথা

ছবি: এএফপি

‘মাঠে নামলে কে বন্ধু বা কে আমার ঘনিষ্ঠ সেটা আমার মাথায় থাকবে না।’ এইতো কদিন আগেই এ কথা বলেছিলেন বার্সেলোনা তারকা লুইস সুয়ারেজ। সপ্তাহের ব্যবধানে এবার সেই সুয়ারেজ বলছেন ভিন্ন কথা। তবে এবার লিভারপুলের বিপক্ষে গোল দিতে পারলে উদযাপন করবেন না এ বার্সেলোনা তারকা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলকে ৩-০ গোল হারিয়েছিল বার্সেলোনা। দলের হয়ে সে ম্যাচে প্রথম গোলটা করেছিলেন সুয়ারেজই। এরপর বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস করেছেন এ উরুগুইয়ান। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের মাটিতে নামার আগে পরিকল্পনা বদলেছেন এ তারকা।

ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগে গোল দেওয়ার পর তার উদযাপন নিয়ে বেশ কটূক্তি শুনতে হয়েছে সুয়ারেজকে। বিশেষকরে লিভারপুল সমর্থকরা বিষয়টি ভালো ভাবে নেয়নি। অবশ্য সে গোলের উদযাপন আটকানো বেশ কঠিনই ছিল তার জন্য। কারণ এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বশেষ গোলটি দিয়েছিলেন ১৭ ম্যাচ আগে, ২০১৫ সালে।

তবে সে গোলের পর উদযাপন করায় লিভারপুল সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সুয়ারেজ, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের মত ম্যাচে গোল করার গুরুত্বটা সবাই বুঝে। আমার লিভারপুলের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে এবং আমি ক্ষমা চেয়েছি। ’

অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতেই গোল করলেও উদযাপন করবেন না বলে জানান সুয়ারেজ, ‘আমি লিভারপুলের কাছে কৃতজ্ঞ এবং অবশ্যই আমি যদি কাল (আজ) গোল দিতে পারি আমি উদযাপন করব না, যেমনটা ন্যু ক্যাম্পে করেছিলাম। আমার ক্যারিয়ারে খেলা যে কোন ক্লাবে ফিরলেও করতাম না।’

‘এখানে (অ্যানফিল্ডে) ফেরা বিশেষ কিছু। লিভারপুল আমাকে অনেক দিয়েছে। তারা আমাকে উন্নতি করা শিখিয়েছে। আর পেশাদার এবং দায়িত্ববান হিসেবে গড়েছে। আমি আয়াক্সেও উন্নতি করেছি। তবে এখানে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম অংশ। আমি গরবিতও। আমি যদি বার্সেলোনায় উঁচু পর্যায়ে ফুটবল খেলে থাকি। এর জন্য ধন্যবাদ লিভারপুল পাবে, কারণ তারা আমাকে গড়ে তুলেছে’ – যোগ করে আরও বলেন সুয়ারেজ।

ক্যারিয়ারে সাড়ে তিন বছর লিভারপুলে কাটিয়েছেন সুয়ারেজ। ২০১৪ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার আগে অলরেডদের হয়ে ১৩৩ ম্যাচে গোল করেছেন ৮২টি।

Comments

The Daily Star  | English

Ritu Porna brace takes Bangladesh to verge of history

Peter Butler's charges beat favourites Myanmar 2-1 in Asian Cup Qualifiers

1h ago