গ্রীষ্মেই ১০ খেলোয়াড় ছাড়ছে বার্সেলোনা!
চ্যাম্পিয়ন্স লীগে লিভারপুলের কাছে বিস্ময়কর হারের পর বিষাদময় সময় কাটছে কাতালানদের। তবে নতুন মৌসুমে পূর্ণ উদ্যমে শুরু করতে চায় দলটি। আর তাই দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে বার্সেলোনার। ১০ জন খেলোয়াড় আগামী গ্রীষ্মেই দল ছাড়তে পারেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস।
বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জন ছিল কোচ এরনেস্তো ভালভার্দেকে নিয়েও। সেই হারের দায় অধিনায়ক লিওনেল মেসি হতে শুরু করে বিভিন্ন খেলোয়াড় হয়ে ভালভার্দের ঘাড়েও চেপেছে। অবশ্য তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন আগের দিন। তবে ১০ জন খেলোয়াড়কে মৌসুম শেষে বিক্রি করছে দলটি। এদের মধ্যে ইভান রাকিতিচ, ফিলিপ কৌতিনহো ও স্যামুয়েল উমতিতির মতো উঁচু মানের খেলোয়াড়ও রয়েছে।
২০১৮ এর জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন কৌতিনহো। অনেক দিন থেকেই এ ব্রাজিলিয়ানকে পেতে চাইছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে সম্প্রতি সে তালিকায় যোগ হয়েছে চেলসির নামও। যদিও খেলোয়াড় ট্রান্সফারে দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে এর বিপক্ষে আবারো আপীল করেছেন তারা। আর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে এদেন হ্যাজার্ডের জায়গায় কৌতিনহোকে পেতে চান ক্লাবের মালিক আব্রাহামভিচ।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্ডো দিপার্তিভোর সংবাদ অনুযায়ী, রাকিতিচের ভাগ্য অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গেছে। ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের সঙ্গে চুক্তি প্রায় পাকা। ৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালিতে পা রাখছেন এ ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। তাকে পেতে চেয়েছিল ফরাসী জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ত জার্মেইও (পিএসজি)। তবে ইতালির প্রতিই আগ্রহ দেখিয়েছেন রাকিতিচ। যদিও তিনি বার্সেলোনাতেই থাকতে চেয়েছিলেন।
আয়াক্স থেকে ফ্রাঙ্কি দি ইয়ংকে কেনার পর থেকেই বার্সেলোনায় জায়গাটা অনিশ্চিত হয়ে যায়। লিভারপুলের কাছে হারের দায় অনেকটাই রয়েছে এ খেলোয়াড়ের। তাই তাকে আর চাইছে না দলটি। দি ইয়ংয়ের সঙ্গে আয়াক্স অধিনায়ক মাতাইস দি লিটের চুক্তিও প্রায় পাকা। তাই উমতিতিকে বিক্রি করে দিচ্ছে দলটি। এ ফরাসী ডিফেন্ডারের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল।
এছাড়া তরুণ ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমের ঠিকানাও হতে পারে আর্সেনাল। কেভিন-প্রিন্স বোয়েটাং ও জেইসন মুরিলোর ধারের মেয়াদ শেষে ফিরছেন নিজ নিজ ক্লাবে। এছাড়া থমাস ভারমালেন, জেস্পার সিলেসেন, রাফিনহা এবং ডেনিস সুয়ারেজও বার্সেলোনায় তাদের শেষ দেখছেন সংবাদ প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো।
Comments