সৌম্য, মুশফিকের ফিফটিতে ফাইনালে বাংলাদেশ
প্রায় যেন প্রথম ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি। আগে ব্যাট করে খুব বড় চ্যালেঞ্জ দিতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রান তাড়ায় যা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। কেবল কজন পারফর্মারের মধ্যে আছে তফাত। আগের ম্যাচে বিবর্ণ মোস্তাফিজুর রহমান এদিন দেখিয়েছেন ঝলক। সৌম্য সরকার আগের দিনের মতই দেখান দাপট। মুন্সিয়ানার দেখা মিলেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকেও। এতজনের ভালো খেলার দিনে ক্যারিবিয়ানদের টানা দুবার হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে মাশরাফি মর্তুজার দলের।
ডাবলিনের ম্যালাহাইডে আগে ব্যাট করে মোস্তাফিজুর রহমান ও মাশরাফির তোপে মাত্র ২৪৭ রান করে উইন্ডিজ। ওই রান তাড়ায় ১৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা এখন নিয়ম রক্ষার। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে কাপ জেতার ম্যাচটি ১৭ মে।
রান তাড়ায় ৭৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান মুশফিকের। সৌম্য করেন ৬৭ বলে ৫৪ রান।
২৪৮ রান সহজ লক্ষ্য হলেও ম্যালাহাইডের অনেকটা মন্থর উইকেটে সতর্ক হয়ে খেলতে হতো বাংলাদেশকে। সেই তাল বুঝেই শুরু করেন দুই ওপেনার সৌম্য আর তামিম। বরাবরের মতই সৌম্যকে দেখা গেছে শুরু থেকেই আগ্রাসী, অন্যদিকে তামিম ছিলেন স্থিতধী। কিন্তু রান বাড়ানোর তাড়ায় তামিমই ফেরেন আগে।
ওয়ানডাউনে নেমে আগের ম্যাচের মতই চনমনে খেলছিলেন সাকিব। অ্যাশলে নার্সকে হুট করে মারতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে থামেন ২৯ রানে। দারুণ খেলতে থাকা সৌম্যও খানিক পর পথ ধরেন সাকিবের। ১০৮ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল, বেড়েছিল চাপ। সেই চাপ যেন তুড়ি মেরে উড়ান মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিক। ৮৩ রানের জুটিতে ৫৩ বলে ৪৩ করে মিঠুনের বিদায়ে ভাঙে জুটি।
মুশফিক ছিলেন অবিচল, তুলে নেন। ক্যারিয়ারের ৩৩তম ফিফটি তোলার পর দ্রত খেলা শেষ করতে গিয়ে কাটা পড়েন মিডল অর্ডারের এই ভরসা।
তবে ততক্ষণে ম্যাচ তো হাতের মুঠোয়।
এর আগে বাংলাদেশকে অর্ধেক খেলা এনে দেন মোস্তাফিজ আর মাশরাফি। আগের ম্যাচে ছন্দহীন হয়ে গালমন্দ শোনা ফিজ জেগে উঠে দেখান ঝলক। তার কাটারও এদিন বেশ ভালোই ভুগিয়েছেন শেই হোপদের। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ দেখান বিশ্বকাপের আগে নিজের ছন্দ। অধিনায়ম মাশরাফি নেন ৬০ রানে ৩ উইকেট। শেই হোপের ৮৭ স্বত্ত্বেও তাই বেশি দূর আগাতে পারেনি জেসন হোল্ডারের দল।
Comments