চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি: ৩ ঘণ্টায় ছাড়া পেলেন সেই ছাত্রলীগ নেতা

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ছাড়া পেয়েছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের এই সহ-সভাপতিকে আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু আগাম জামিন থাকার কথা জানিয়ে দুপুর ১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ছবিটি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ছাড়া পেয়েছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের এই সহ-সভাপতিকে আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু আগাম জামিন থাকার কথা জানিয়ে দুপুর ১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেটের সবগুলো মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, ও বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসকরা আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন। মানববন্ধন করে ও স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। কিন্তু দুপুরে পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি শেষ হতে না হতেই ছাড়া পেয়ে যান সারোয়ার।

হত্যা ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে গতকাল সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানায় সারোয়ার হোসেনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফেরদৌস হাসান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১৫ জন অনুসারীকে সঙ্গে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন সারোয়ার। রোগীকে রেখে অন্যদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য চিকিৎসক অনুরোধ করলে সারোয়ার বলেন, তাদের উপস্থিতিতেই চিকিৎসা দিতে হবে। উত্তেজিত হয়ে নিজেকে সিলেট জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নিজের পরিচয় দেন সারোয়ার। ঘটনাটির একটি ভিডিও দেখা যায়, বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সারোয়ার চিৎকার করে উপস্থিত নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেন।

ছাত্রলীগ নেতার হুমকির গত তিন দিন থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন সিলেটের চিকিৎসকরা। শনিবার দিনব্যাপী ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সিলেটে কর্মবিরতি পালন করেন। রোববার মানববন্ধন করে সোমবারও বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়েছেন তারা। আজ দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে বিএমএ, সিভিল সার্জন, সিলেটের স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মামলার পর ছাত্রলীগের ওই নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম। কিন্তু সিলেট আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে রাখায় আমরা তাকে ছেড়েছি।

Comments

The Daily Star  | English

Former planning minister MA Mannan arrested in Sunamganj

Police arrested former Planning Minister MA Mannan from his home in Sunamganj's Shatiganj upazila yesterday evening

2h ago