‘যুক্তরাষ্ট্রের চোখ এড়িয়ে চীনে ইরানি তেল খালাস’
পাঁচ মাস ধরে ‘মার্শাল জেড’ ট্যাঙ্কারটিকে অনুসরণ করা হচ্ছিলো। ভূয়া কাগজ ব্যবহার করে বলা হচ্ছিলো ট্যাঙ্কারে রয়েছে ইরাকি তেল। তেল মজুদ প্রতিষ্ঠান কার্গো খালাসের খবরটি নিশ্চিত করেছে। তবে জানিয়েছে সেগুলো ইরানি তেল নয়।
জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী রেফিনিটিভ এইকনের বরাত দিয়ে আজ (১৬ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানি তেলবাহী একটি ট্যাঙ্কার চীনের ঝুউশান শহরের কাছে অবস্থান করছে। সেখানে একটি তেল মজুদ প্রতিষ্ঠানের ট্যাঙ্কগুলোতে ইরানি তেল খালাস করা হয়েছে।
তেল মজুদ প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিনিধির সূত্র দিয়ে খবরে বলা হয়, ট্যাঙ্কার ‘মার্শাল জেড’ থেকে ১৩ লাখ টন ইরানি তেল খালাস করা হয়েছে। গত চারমাস ধরে ট্যাঙ্কারটিকে ঘিরে জল্পনা চলছে।
গত ২০ মার্চ রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে জারি করা যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ এড়াতে ইরানি তেল তিনবার জাহাজ বদলায়। সবশেষ সেই তেল তোলা হয় ‘মার্শাল জেড’ ট্যাঙ্কারে। ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বলা হয় ট্যাঙ্কটিতে ইরাকি তেল রয়েছে।
ঝুউশান জিনরুন পেট্রোলিয়াম ট্রান্সফার কোম্পানির অপর এক প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, কার্গোটিতে কোনো ইরানি তেল নেই। অন্তত গত চার বছর টার্মিনালটিতে ইরান থেকে কোনো তেল আসেনি।
ইরানি তেল খুঁজে বের করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কড়া নির্দেশ দেওয়ার দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যেই চীনে ‘ইরানি তেল’ খালাসের এই ঘটনা ঘটলো।
গত জানুয়ারি থেকে রয়টার্স জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে ‘মার্শাল জেড’ এর গতিবিধি প্রতিদিন অনুসরণ করে আসছিলো।
খবরে বলা হয়, গত ১২ মে ট্যাঙ্কার থেকে তেল খালাসের কাজ শেষ করা হলে তা বন্দর ত্যাগ করে। সেই আগামী ২১ মে সিঙ্গাপুরে পৌঁছাতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, গত জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি বড় ট্যাঙ্কার থেকে তেল ভরে ‘মার্শাল জেড’। এরপর, মালয়েশিয়ার একটি বন্দরে এসে সেই তেল ‘দ্য লিবিয়া’ নামের অন্য একটি ট্যাঙ্কারে তোলা হয়।
গত ২২ মার্চ সেই তেল আবারো তোলা হয় ‘মার্শাল জেড’-এ। এরপর ট্যাঙ্কারটি কিছুদিন নোঙর করে রাখা হয় মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের উপকূলে। তারপর সেই ট্যাঙ্কারটি হংকং হয়ে পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশে প্রবেশ করে।
তবে ‘মার্শাল জেড’ ট্যাঙ্কারের সেই তেল কে বা কারা কিনেছেন সেই বিষয়টি রয়টার্স এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
‘পরমাণু চুক্তি’ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আংশিক’ সরে দাঁড়াচ্ছে ইরান
Comments