সৌম্য-মোসাদ্দেকের ঝড়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ডে গিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Soumya Sarkar
ফাইল ছবি: এএফপি

সৌম্য-মোসাদ্দেকের ঝড়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

এর আগে সব সংস্করণ মিলিয়ে ছয়বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। খুব কাছে গিয়েও হারতে হয়েছিল বারবার। ফাইনালে জেতার ফসকা গেরো অবশেষে খুলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। দলকে জেতাতে সবচেয়ে বড় অবদান ওপেনার সৌম্য সরকারের। ঝড় তুলে ফিফটি করে তিনি দেখিয়েছিলেন পথ। আর দলের চাপের মধ্যে নেমে আরেকটি ঝড়ো ফিফটি করে কাজটা সেরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

ডাবলিনের ম্যালাহাইডে ডি/এল মেথডে ২৪ ওভারে ২১০ রান তুলার লক্ষ্য বাংলাদেশ পেরিয়েছে ৭  বল হাতে রেখে। জিতেছে  উইকেটে। সৌম্য ৪১ বলে ৬৬ রান মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৪  বলে ৫২ রান করে। মাত্র ২১ বলে ফিফটি তুলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও গড়েন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪ ওভারে ১৫২/১ (হোপ ৭৪, আমব্রিস ৬৯*, ব্রাভো ৩*; মাশরাফি ০/২৮, সাইফ ০/২৯, মুস্তাফিজ ০/৫০, মোসাদ্দেক ০/৯, মিরাজ ১/২২, সাব্বির ০/১২)

বাংলাদেশ: ২২.৫ ওভারে ২১৩/৫ (লক্ষ্য ২১০)  ( তামিম ১৮, সৌম্য ৬৬ , সাব্বির ০, মুশফিক ৩৪, মিঠুন ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, মোসাদ্দেক ৫২* ; নার্স ০/৩৫, হোল্ডার ০/৩১, রোচ ০/৫৭, গ্যাব্রিয়েল ২/৩২, রেইফার ২/২৩, অ্যালেন ১/৩৭)

ফল: বাংলাদেশ ডি/এল মেথডে ৫ উইকেটে জয়ী।   




দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ 

মুশফিকুর রহিমের পর ভালো শুরু পেয়েও বেশিক্ষণ টিকলেন নামোহাম্মদ মিঠুন। ফ্যাবিয়ান অ্যালানের বলে এলবিডব্লিও হয়ে ফেরত গেছেন তিনি। ২৪ ওভারে ২১০ রান তাড়ায় ১৪৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 



ঝড় তুলে বিদায় মুশফিকের

২২ বলে ৩৬ রান করে রেইফারের বলে এলবিডব্লিও হয়ে ফেরত গেছেন মুশফিকুর রহিম। ১৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। 



ঝড়ো ফিফটির পর থামলেন সৌম্য 


৪১ বলে ৬৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন সৌম্য সরকার। ২৪ ওভারে ২১০ রান তাড়ায় ১১.৩ ওভারে ১০৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

সৌম্যের ঝড়ো ফিফটি

ডি/এল মেথডের হিসাবে ম্যাচটা অনেকটা টি-টোয়েন্টিতে পরিণত হতেই আভাস মিলছিল তেঁড়েফুড়েই শুরু করবেন সৌম্য সরকার। সেটাই দেখা গেল তার ব্যাটে। চোখ ধাঁধানো সব শট খেলে সৌম্য বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন দুরন্ত সূচনা। মাত্র ২৭ বলে ৮ চার আর ২ ছক্কায় ফিফটি ছুটছেন তিনি।   ২৪ ওভারে ২১০ রান তাড়ায় নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই এসেছে ৫৯ রান। তাতে ৩৯ রানই ছিল সৌম্যের। একবার জীবন পেয়েও তামিম ফেরেন ১৮ রান করে। ওয়ানডাউনে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাব্বির রহমান। তিনি ফেরেন কোন রান না করেই। 

৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯১ রান। সৌম্য খেলছেন ৬২ রান নিয়ে। মুশফিকের রান ৯। 




২৪ ওভারে বাংলাদেশের চাই ২১০ রান



বৃষ্টির পর ২৪ ওভারে নেমে আসার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের ইনিংস শেষ করেছে ১ উইকেটে ১৫২ রানে। কিন্তু ডি/এল মেথডে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা আরও অনেক বেশি।  ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় কাপ জিততে ২৪ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে  রান। অর্থাৎ ওভারপ্রতি নিতে হবে   রান করে।

বৃষ্টির পর ৩.৫ ওভার পুরো করেন মোস্তাফিজ ও মিরাজ। ৬৪ বলে ৭৪ করা শেই হোপকে আউটও করেন মিরাজ। ওই ৩ ওভার ৫ বল থেকে ক্যারিবিয়ানরা নিতে পেরেছে মাত্র ২১ রান।



বৃষ্টির পর ম্যাচ নেমে এল ২৪ ওভারে 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে নামা লম্বা বৃষ্টির পর খেলা শুরুর অবস্থা তৈরি হয়েছে। অনুমিতভাবেই কমে এসেছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ম্যাচ নেমে এসেছে ২৪ ওভারে। ২০ ওভার ১ বলে বিনা উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩১ করার পর বন্ধ হয়েছিল খেলা। ডি/এল মেথডে তারা পাবে আরও ৩ ওভার ৫ বল। এরপর নির্ধারিত হবে ডি/এল মেথডে কত লক্ষ্য দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের।



ক্যারিবিয়ান ওপেনারদের দারুণ শুরুর পর বৃষ্টি 

মেঘলা আকাশ দেখে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুটা আঁটসাঁটও হলেও শেই হোপ আর সুনিল আম্রিস সতর্ক থাকার পর শুরু করেন তান্ডব। তাতে তরতরিয়ে বাড়ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান। ২০.১ ওভারে ১৩১ রান তোলার পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। হোপ ৫৬ বলে ৬৮। আম্রিস ৬৫ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন। 

জমে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি

মেঘলা আকাশ। টিপটিপে বৃষ্টিও পড়ছিল। টস জিতে বাংলাদেশের বোলাররা শুরু করেছিলেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তবে সতর্ক ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকটা সামলে পাখা মেলতে শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেই হোপ আর সুনিল আম্রিস ১৯ ওভারে তুলে ফেলেছেন ১১৪ রান। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন বোলারই তাদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি। ৫০ বলে মোস্তাফিজকে ছক্কা মেরে ফিফটিতে পৌঁছান হোপ। আম্রিসও আছেন তার পিছু পিছু ৬০ বলে করেন ফিফটি। 


ফাইনালে সাকিব নেই, বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে 

আয়ারল্যান্ডে গিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে কোন ম্যাচেই টস জেতা হচ্ছিল না বাংলাদেশের। প্রতিবারই প্রতিপক্ষ জিতে আগে নিচ্ছিল ব্যাটিং। অবশেষে টস ভাগ্য কথা বলেছে মাশরাফি মর্তুজার হয়ে। তবে টস জিতেও আগে ফিল্ডিং নিয়েছেন তিনি।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাইড স্ট্রেনের চোটে খেলতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। তার বদলে একাদশে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। আগের ম্যাচে ৭৬ রান করা লিটন দাসকে বসিয়ে একাদশে ফেরানো হয়েছে সৌম্য সরকারকে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় সাইড স্ট্রেনে চোট পান সাকিব। ৫১ বলে ৫০ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। একদিন পর্যবেক্ষণ করে ওই চোট গুরুতর না মনে করা হলেও বিশ্বকাপের আগে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি দল। 

একাদশে অনুমিতই ভাবেই এসেছে আরও বদল। আগের ম্যাচে বিশ্রাম থেকে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেলেও ছিটকে গেছেন আবু জায়েদ রাহি। নেই রুবেল হোসেনও। 

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ:  শেই হোপ, সুনিল আমব্রিস, ড্যারনে ব্রাভো, রোস্টন চেইস, জোনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডার, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, রেমন রিফার, অ্যাশলি নার্স, কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago