শেষটা ভালো হলো না বার্সেলোনা-রিয়ালের
লালিগার শিরোপার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে আগেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানও নিশ্চিত ছিল আগেই। তার শেষ দিকের ম্যাচগুলো ছিল মর্যাদার। তবে তাতে ব্যর্থ হয়েছে স্পেনের সেরা দুই দল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ দুই দলই। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে এগিয়ে গিয়েও এইবারের সঙ্গে ড্র করেছে বার্সা। আর রিয়াল বেটিসের কাছে তো হেরেই গেছে জিদানের শিষ্যরা।
এদিন এইবারের মাঠে ২-২ গোল ড্র করে বার্সেলোনা। এর আগে ন্যু ক্যাম্পে তাদের ৩-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। আর ঘরের মাঠে রিয়াল বেটিসের কাছে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এর আগে বেটিসের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল দলটি।
এদিন নিজেদের ভুলেই গোলদুটি খায় বার্সেলোনা। ২০তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে হোসে আনহেলের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে পড়ে যান জেরার্দ পিকে। তাতে সের্জি এনরিচ বল পেয়ে পাস দেন মার্ক কুকুরেইয়াকে। কোনাকুনি শট নেন এ ফরোয়ার্ড। বল গোলরক্ষক জেস্পার সিলেসেনের আয়ত্ত্বের মধ্যে থাকলেও ঠেকাতে পারেননি, হাতে লেগে বল জালে জড়ায়।
এরপর প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আরও একটি ভুল করেন সিলেসেন। মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল ডি-বক্স ছেড়ে বেড়িয়ে হেড দিলে বল পেয়ে যান পাবলো দি ব্লাসিস। আলগা বলে দারুণ এক ভলিতে সিলেসেনের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। পিছিয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলেও নাগাল পাননি ডাচ গোলরক্ষক।
এর আগে দুই মিনিটের ঝলকে দুই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। ৩১তম মিনিটে আর্তুরু ভিদালের বুদ্ধিদীপ্ত পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। দুই মিনিট পর নিজেদের অর্ধ থেকে ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বল ধরে এগিয়ে ডি বক্সে ঢুকে আলতো চিপে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান পাঁচ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকা।
বার্নাব্যুতে শুরু থেকেই গোছানো ফুটবল খেলতে পারেনি রিয়াল। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আন্দ্রেস গুয়ার্দাদোর পাস ছোট ডি-বক্সে পেয়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করে লোরেন মোরোন। গোল খেয়েও ধার বাড়াতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৭৫তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বেটিস। জুনিয়র ফিরপোর পাস থেকে ছোট ডি-বক্সে বল পেয়ে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড হেসে রদ্রিগেস।
Comments