মইনের আশা, স্মিথ-ওয়ার্নারকে দুয়ো দেবে না সমর্থকরা

ছবি: এএফপি

নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আসন্ন বিশ্বকাপ দিয়েই ফিরছেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তাও আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে। ক্রিকেটে যে দেশটি অস্ট্রেলিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাই সেখানে সমর্থকদের রোষানলে পড়তে পারেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা, এমন আশংকাই করছে ক্রিকেট বোদ্ধারা। তবে ইংলিশ অলরাউন্ডার মইন আলী আশা করছেন এমন কিছু করবে না ক্রিকেট ভক্তরা।

বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর গত মার্চে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মেলে স্মিথ-ওয়ার্নারের। তাদের ফেরাটা কেমন হবে এ নিয়ে ভাবছেন মইনও। সমর্থকরা কেউ এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না এমনটাই আশা করছেন তিনি। দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি আশা করব তেমন বেশি সমস্যা হবে না। আমি চাই তারা সিরিজটা উপভোগ করুক। ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে, এটাকে আনন্দদায়ক রাখতে হবে। আমাদের সবারই ভুল হয়। আমরা মানুষ এবং আমাদের আবেগ আছে। আমি জানি অন্তঃস্থল থেকে তারা খুব ভালো লোক। আশা করছি তাদের সঙ্গে মার্জিতভাবে আচরণ করা হবে।'

দুই দিন আগে ইংল্যান্ডের মাঠে স্মিথ ও ওয়ার্নারের ফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কোচ জাস্টিন লেঙ্গার। তাদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হতে পারে এমনটাই শঙ্কা তার। তবে বিশ্বকাপে এ দুই তারকার দিকে বিশেষ নজর দিবেন বলেই জানান অস্ট্রেলীয় কোচ। তার ফলশ্রুতিতে কথা বলেন মইন।

স্মিথ ও ওয়ার্নার দুইজনই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক-বিশ্বকাপ ক্যাম্পের সদস্য ছিলেন। যেখানে তারা নিউজিল্যান্ড একাদশের সঙ্গে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন তারা। সেখানে স্মিথের স্কোর ২২, ৮৯* এবং ৯১*। আর ওয়ার্নারের সংগ্রহ ৩৯ ও এবং ২। দুই জনই আইপিএলে দলের মূল খেলোয়াড়ের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে দারুণ ছন্দে ছিলেন ওয়ার্নার। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রাহকও তিনি। ৬৯.২০ গড়ে করেন ৬৯২ রান। আর ৩৯.৮৭ গড়ে স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৩১৯ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ক্যাম্পের জন্য দুই খেলোয়াড়ই আগেভাগে আইপিএল ছাড়েন।

২০১৮ এর মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে ধরা পড়েন ক্যামেরন বেনক্রফট। লিডারশীপ গ্রুপের নির্দেশে এই টেম্পারিং হয়েছে বলে পরে স্বীকার করেন স্টিভেন স্মিথ। আইসিসি স্মিথকে এক টেস্ট নিষিদ্ধ করেছিল, জরিমানা করে বেনক্রফটকে। কোন শাস্তি দেয়নি ওয়ার্নারকে। কিন্তু নিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আর বেনক্রফটকে নিষিদ্ধ করে নয় মাসের জন্য।

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago