বিশ্বকাপে রান-উৎসব ঠেকাতে 'ফন্দি' এঁটেছে অস্ট্রেলিয়া
বাণিজ্যিক কারণেই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে রান-প্রসবা উইকেট তৈরি করে আইসিসি। তবে এবারের বিশ্বকাপ বোধহয় ছাড়িয়ে যাবে আগের সব আসরকেই। সম্প্রতি শেষ হওয়া ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজে মিলেছে সেই ইঙ্গিত। কিন্তু বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানরা রান করবেন, আর বোলাররা চেয়ে চেয়ে দেখবেন- তা তো আর হয় না! তাই ইংল্যান্ডের নির্বিষ উইকেটে রান-উৎসব ঠেকাতে এক ‘ফন্দি’ এঁটেছে অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটসম্যানদের হাতে নির্বিচারে মার খাওয়া ঠেকাতে মিচেল স্টার্কসহ দলটির সব পেসারই অনুশীলন করছেন ‘ওয়াইড ইয়র্কার’। আর এই কঠিন অনুশীলনকে আনন্দময় করতে ‘পয়েন্ট’ পদ্ধতি চালু করেছে তারা।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বর্তমানে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে প্রস্তুতি ক্যাম্প করছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বিশেষ নজর দিচ্ছে তাদের ‘ডেথ বোলিং’ দক্ষতার ওপর। অর্থাৎ, শেষ ১০ ওভারে ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসন কীভাবে থামানো যায়- তা নিয়ে ছক কাটছে তারা। যার তত্ত্বাবধানে আছেন বোলিং কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথ।
মূলত, দ্রুত গতিতে সুইং করা ইয়র্কার ডেলিভারির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে অসিরা। কারণ, ‘ওয়াইড ইয়র্কার’ ব্যাটসম্যানদের প্রায়ই ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেয়। মারবেন না কি ছেড়ে দেবেন- এই নিয়ে তাদের দ্বন্দ্বে পড়তে হয়। তাছাড়া এই ধরনের ডেলিভারিকে চার কিংবা ছয়ে রূপান্তর করাও কঠিন।
‘ওয়াইড ইয়র্কার’ মারা যেমন কঠিন, তেমনি এই বল ঠিকঠাক করতে পারাও তো চাট্টিখানি কথা নয়। তাই নিখুঁত ‘ওয়াইড ইয়র্কার’ করতে অনুশীলনে অসি পেসাররা খাটছেন বিস্তর।
পিচের নির্দিষ্ট স্থানে বল ফেলতে অস্ট্রেলীয় বোলারদের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। চিহ্নিত স্থানে বল ফেলতে পারলেই মিলবে ‘পয়েন্ট’। তাতে স্টার্ক ও তার সতীর্থদের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রতিযোগিতার মনোভাবও।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে বাঁহাতি গতি তারকা স্টার্ক বলেন, 'আমরা লক্ষ্য বেঁধে নিয়ে বোলিং করছি। উইকেটের দু’পাশে কিছু “কোন” (চিহ্ন) রাখা আছে। আমরা ওই স্থানগুলোতে বল ফেলার চেষ্টা করছি। আমরা এটা নিয়ে কঠোর অনুশীলন করছি। কারণ, ডেথ ওভার হচ্ছে এমন একটা বিষয় যেখানে আপনি একটা ম্যাচ জিততে পারেন কিংবা হারতে পারেন।’
Comments