ধানখেতে আগুন দেওয়ার ছবি পাঞ্জাবের, বাংলাদেশের নয়: হানিফ

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “বগুড়ায় কৃষকের ধানখেতে আগুন দেওয়ার যে ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে সেটা বাংলাদেশের ঘটনা নয়। ভারতের পাঞ্জাবের একটি গমখেতে অনেক আগে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেই আগুনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। স্টার ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সুযোগ পেলেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। সর্বশেষ তারা ধানখেতে আগুন দেওয়া নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “বগুড়ায় কৃষকের ধানখেতে আগুন দেওয়ার যে ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে সেটা বাংলাদেশের ঘটনা নয়। ভারতের পাঞ্জাবের একটি গমখেতে অনেক আগে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেই আগুনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে “শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও নারীর অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ: শেখ হাসিনার অবদান” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আর জুটমিল শ্রমিকদের কীভাবে খুলনার একজন বিএনপি নেতা উসকিয়ে দিয়েছেন তা সবার জানা রয়েছে।

ধানক্ষেতে আগুন লাগার অপপ্রচার যারা চালাচ্ছে এবং পাটকল শ্রমিকদের যারা উসকে দিচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে আজ নারীরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। গ্রামে-গঞ্জে নারীরা আজ নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফল হচ্ছেন। স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা অংশ নিচ্ছেন এবং নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে তারা নেতৃত্বে আসছেন। এসবই শেখ হাসিনার অবদান।

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে সব নেতাকর্মীকে রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপিকা সুলতানা সফির সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের নেত্রী জাকিয়া হাসান, ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা ও যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার প্রমুখ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago