বিশ্বকাপে রান উৎসব ঠেকানোর উপায় বাতলে দিলেন শচিন
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন শচিন টেন্ডুলকার। নায়কোচিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন অনেকবার। এবারের বিশ্বকাপে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি রান হওয়ার অনুমান করা হচ্ছে। রান হলে তো তার ভালো লাগারই কথা। কিন্তু রান উৎসবের আগাম ধারণা পেয়ে কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান হয়েও বোলারদের জন্য মায়া ঝরল শচিনের কণ্ঠে। বিশ্বকাপে তাই রান উৎসব ঠেকাতে বোলারদের কিছু উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি।
অনেকেই বলছেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এবার সাড়ে তিনশো রান হবে অহরহ। সাবেক অসি ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহ তো মনে করছেন পাঁচশো রানের দেখাও মিলতে পারে এবার বিশ্বকাপে। শচিনেরও কানে আসছে এসব কথা।
ওয়ানডেতে আগে দুই প্রান্ত থেকেই একটা নতুন বল দিয়ে শুরু হতো ইনিংস। কিন্তু সেই নিয়ম বদলেছে বেশ কদিন হলো। এখন দুই প্রান্ত থেকেই দুটি নতুন বলে খেলা চলে এক ইনিংস। সেকারণে এক ইনিংসে কোন বলই ২৫ ওভারের বেশি পুরনো হয় না।
উইকেটের সুবিধা থাকছে, বলও থাকছে শক্ত। এসব কারণে বোলাররা ওয়ানডেতে আর রিভার্স স্যুয়িং করাতে পারেন না, শচিন তাদের সময়ের কথা ভেবে বরং আক্ষেপ করলেন, ‘দুইটা নতুন বলের কারণে সাড়ে তিনশো রান হচ্ছে। এমনকি ৪৬ ও ৪৭ ওভারের সময়ও বল থাকে ২৩ বা ২৪ ওভার পুরনো। কাজেই এটা ওইকরম পুরনো হয় না। তখন ওই বল দিয়ে রিভার্স করানো যায় না। আমরা যখন খেলতাম সেই আগের নিয়মে একটা বল দিয়েই খেলা হতো। ২৮ ওভারের পরই বল রিভার্স করত।’
পরিস্থিতি, বাণিজ্যিক চাহিদা সবই বোলারদের বিপক্ষে। তবু এরমধ্যেও বোলারদের সাফল্য আনার পথ আছে শচিনের কাছে। ইংল্যান্ডের উইকেটেও স্পিনারদের ভূমিকা বড় করে দেখছেন শচিন, ‘এখন বল সব সময় শক্তই থাকে, শাইন থাকে, ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশন তো আছেই। এসব মিলিয়ে বোলারদের বাড়তি চাপে থাকতে হয়। আমি মনে করি মাঝের ওভারে যদি কোয়ালিটি স্পিনার বল করে, তাহলে তারা উইকেট পেতে পারে। আসলে বোলিং জুটির ব্যাপার আছে এখানে। মানসম্মত বোলাররা যদি জুটি গড়ে বল করতে পারে তাহলে ব্যাটিং লাইনআপে চাপ তৈরি করা সম্ভব। রান বন্যা ঠেকানোর এটা একটা উপায়।’
Comments