পশ্চিমবঙ্গে পদ্মফুলের জয়জয়কার

তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪২-এ-৪২ এর ডাক থেমে গেল ২২-এ। বামফ্রন্ট ৪২ আসনের প্রার্থী দিয়ে একটি আসনেও তাদের প্রতিনিধিকে জেতাতে পারেনি। সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসের মাত্র দুজন প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ২৩ আসনের টার্গেট পূরণ না হলেও গত বারের তুলনায় ১৬ আসন বেড়ে ১৮ তে গিয়ে ঠেকেছে।
ভোটের ফলাফলে বিজেপি সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স

তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪২-এ-৪২ এর ডাক থেমে গেল ২২-এ। বামফ্রন্ট ৪২ আসনের প্রার্থী দিয়ে একটি আসনেও তাদের প্রতিনিধিকে জেতাতে পারেনি। সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসের মাত্র দুজন প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ২৩ আসনের টার্গেট পূরণ না হলেও গত বারের তুলনায় ১৬ আসন বেড়ে ১৮ তে গিয়ে ঠেকেছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভোটের এই ফলাফল রাজ্যবাসীর মুখে মুখে ফিরছে। কলকাতা থেকে কোচবিহার, সোদপুর থেকে সুন্দরবন সর্বত্র দুটি শব্দের আঁচ পেয়েছেন রাজ্যবাসী। এক উত্থান আরেকটি পতন।

২০১৪ সালের আসানসোল ও দার্জিলিং আসনে জয় পাওয়ার মধ্যদিয়ে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রথমবারের মতো তাদের সংগঠন বিস্তার শুরু করেছিল। আজ পাঁচ বছর পর সেই সংগঠন রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী প্রাচীরকে ধাক্কা দিয়েছে।

শুধু মাত্র লোকসভার আসনের এগিয়ে থাকার নিরিখে বলা যেতে পারে, এই মুহূর্তে বিধানসভা (রাজ্য সরকার) নির্বাচন হলে গড় ভোটের হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরা প্রবল অনিশ্চিত হয়ে যেত।

প্রায় আচমকাই মানুষের মনের এই পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যেই কাটাছেড়া শুরু করেছেন। আর সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূলের অভ্যন্তরেও চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

সংখ্যার দিক থেকে কোনোমতে এগিয়ে থাকলেও এইভাবে জনপ্রিয়তার গ্রাফ নিম্নমুখী যাওয়ার পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের দম্ভকে দায়ী করা হচ্ছে অনেকটাই। অন্যদিকে গত কয়েক বছর ধরে চলমান সন্ত্রাস, সিন্ডিকেট রাজত্ব এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়র ভোট ঘরে তোলার অতি আগ্রহকেও দায়ী করা হচ্ছে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে এই বিষয়গুলোই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। আর খুব সুকৌশলে বিভাজনের রাজনৈতিক তাস খেলে ফসল ঘরে তুলে নিয়েছে বিজপি।

এদিকে স্থানীয় সময় রাত ৮ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে যে ২৩ আসনে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, অভিনেতা দেব, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায়, মালা রায় প্রমুখ।

বিজেপির এগিয়ে থাকারা হচ্ছে, দিলীপ ঘোষ, শান্তনু ঠাকুর, অর্জুন সিং, সৌমত্রি খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশিথ প্রামাণিক প্রমুখ।

রাজ্যের কোনো রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে অনেক রাজনীতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, মুর্শিদাবাদের তার নিজের আসন ছাড়া সব আসনে তারা পরাজিত হয়েছেন। কংগ্রেসকে ভেঙে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ওদের পরাজয় ওরাও জানত। ওদের পরিণতির কারণ ওদের দম্ভ।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

54m ago