অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির আশা, মাশরাফির রোমাঞ্চ

Mashrafe Mortaza
ছবি: AFP

লন্ডনের দ্য ফিল্ম শেড দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ধ্বংসের স্মৃতি বয়ে যেন এক পোড়াবাড়ি। কিন্তু নান্দনিকতায় সেটিই এখন শুটিং স্পট। সেখানেই বসেছিল বিশ্বকাপের দশ অধিনায়ককে নিয়ে  'তারার মেলা'। তাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও দিয়েছেন নানান প্রশ্নের উত্তর। জানিয়েছেন বিশ্বকাপে তাদের প্রত্যাশা আর রোমাঞ্চের কথা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আইসিসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাশরাফি কথা বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। দেন তার উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেওয়া নানা প্রশ্নের উত্তর। কোনোটিতে হালকা মেজাজে, কোনোটিতে গাম্ভীর্য নিয়ে। সে সব উত্তরের মাঝে ফুটে ওঠে একটি বার্তা- বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। সেই সঙ্গে ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে সব দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে মাশরাফির দল, এ হুঙ্কার দিতেও ভোলেননি 'ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক' তকমা পাওয়া বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক।

প্রশ্ন: ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে গত চার বছরে বাংলাদেশ নয়টি সিরিজ জিতেছে। এতেই বোঝা যায়, দল হিসেবে কতটা উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।

মাশরাফি: আমাদের দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের নিয়ে গড়া আমাদের দলের মিশ্রণটা চমৎকার। তরুণ ক্রিকেটাররা উঠে আসছে এবং তারা রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলছে। সবশেষ আয়ারল্যান্ডে যে সিরিজ আমরা খেলেছি, সেখানে তারা দারুণ পারফর্ম করেছে। আশা করছি, আগামী ২ জুন ফ্যাফ ডু প্লেসির দলের (দক্ষিণ আফ্রিকা) বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচটাতে আমরা ভালো করতে পারব।'

তখন আবার পাশে বসা ডু প্লেসি বলেন, ‘আশা করি তোমার আশা পূরণ হবে না।’

প্রশ্ন: গেল চার বছরে খেলোয়াড়দের মানসিকতার পরিবর্তন নিশ্চয়ই আপনার দেখে থাকার কথা। সেই সঙ্গে দলের মধ্যে একটা বিশ্বাসও নিশ্চয়ই জন্মেছে যে, আমরা যে কাউকে হারানোর ক্ষমতা তাদের আছে।

মাশরাফি: ক্রিকেট হচ্ছে এমন একটা খেলা, যেখানে নিজের দিনে আপনি যে কাউকে হারাতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের মতো দলের যদি শুরুটা ভালো হয়, তবে আমরা তা ধরে রাখতে পারি। আমরা আত্মবিশ্বাসী, যে কোনো দলকে হারাতে পারব। তবে সবকিছু নির্ভর করছে শুরুর ওপর। আশা করছি, শুরুটা ভালো হবে।'

প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের কোন ক্রিকেটারকে নিজ দলে চান?

মাশরাফি: ওকে চাই (আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে), বিরাট কোহলিকে।'

প্রশ্ন: বিশ্বকাপ সামনে। এটা নিয়ে কোনো স্নায়ুচাপ আছে কি না?

মাশরাফি: আমার দিক থেকে এটা নতুন কিছু না। তবে সবাই এটা নিয়েই কথা বলছে। আমার মনে হয়, এখন পুরো বিষয়টা নির্ভর করছে আমাদের মানসিক প্রস্তুতির ওপর। বিশ্বকাপ খুবই নিকটে। তাই মানসিকভাবে একে অপরের সঙ্গে কতটা মিশতে পারছি এবং ভালোভাবে শুরু করতে পারছি কি না, তার ওপর এটা নির্ভর করছে। একটা দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত।'

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

17h ago