‘শতভাগ’ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

Bangladesh Cricket Team
ছবি: এএফপি

২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ক্রিকেটবিশ্ব দেখছে অন্য এক বাংলাদেশকে। টাইগারদের উন্নতির সূচকটা ঊর্ধ্বমুখী। আয়ারল্যান্ডের মাটিতে সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজেও চ্যাম্পিয়ন মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ফলে ক্রিকেটারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিজেদের সামর্থ্যের ওপর ভরসা রাখার আস্থা, বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। এই ইতিবাচক দিকগুলোকে পুঁজি করে আজ (২৬ মে) পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ম্যাচটির একটা গালভরা নাম আছে- ‘ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ’। তবে প্রস্তুতির খোলসে নিজেদেরকে যাচাই করে নেওয়ার তাগিদও রয়েছে। শেষ মুহূর্তে দলের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করে নিতে মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে ভালো সুযোগও তো আর হয় না! পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সুযোগটা চূড়ান্তভাবে কাজে লাগানোর আগে বাংলাদেশকে আশাবাদী করে তুলছে দুটি রেকর্ড। দুটোই সুখস্মৃতি- ‘শতভাগ’ জয়ের। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের কাছে ওয়ানডেতে আর হারেনি টাইগাররা। আর দুই দলের দ্বৈরথের মঞ্চ কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সেও এখন পর্যন্ত অপরাজিত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

কয়েকদিনের ব্যবধানে কার্ডিফে আরও দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২৮ মে এই ভেন্যুতেই দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। আর আগামী ৮ জুন বিশ্বকাপের মঞ্চে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে মোকাবেলা করবে তারা।

বিশ্বকাপের গেলো আসরের পরপরই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলো পাকিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজে তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলেন মাশরাফিরা। এরপর গেলো বছর এশিয়া কাপের সুপার ফোরে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়াই বাংলাদেশ জিতেছিলো ৩৭ রানে। সে ম্যাচে দুর্দান্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমান। মুশফিক সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়েছিলেন মাত্র এক রানের জন্য। মোস্তাফিজ নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। অর্থাৎ দুই দলের সর্বশেষ চার ম্যাচের সবকটিতে জয়ী বাংলাদেশ।

সোফিয়া গার্ডেন্সে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে। দেশের বাইরে যে কয়েকটি ভেন্যুতে টাইগারদের ‘শতভাগ’ জয়ের রেকর্ড রয়েছে, তাদের একটি হলো এটি। দুটি জয়ই ছিলো ঐতিহাসিক। দুটি জয়ই ৫ উইকেটের ব্যবধানে। ২০০৫ সালে এই মাঠেই প্রবল পরাক্রমশালী ও তৎকালীন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জয়টিকে অবশ্য ‘অঘটন’ তকমাই দেওয়া হয়েছে। তবে ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ড বধকে কোনোভাবেই চমক বলার উপায় নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট পরাশক্তি হওয়ার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে- এই বার্তাই পাওয়া গিয়েছিলো ওই ম্যাচে।

এই দুটি অবিস্মরণীয় জয়ে প্রত্যক্ষ অবদান রাখা একজনই কেবল আছেন বর্তমান দলে। তিনি অধিনায়ক মাশরাফি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩ রান দিয়ে ম্যাশ নিয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্টের উইকেট। কিউইদের বিপক্ষে উইকেট না পেলেও আঁটসাঁট বোলিং করেছিলেন, রানবান্ধব পিচে ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৫ রান। এবারে কি ‘দানে দানে তিন দান’ হওয়ার পালা মাশরাফির? তা হলে তো বাংলাদেশও বিশ্বকাপের মূল পর্বে দারুণ কিছু করে দেখানোর রসদ পেয়ে যাবে। উত্তরটা জানা যাবে কয়েক ঘণ্টা পরই। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে।

Comments

The Daily Star  | English

Political clashes, mob attacks leave 25 dead in July 2025: MSF

The report, based on news from 18 media outlets and verified by rights activists, also noted an alarming rise in mob attacks, recording 51 incidents last month

38m ago