‘সতীর্থ’ সাব্বির-মোসাদ্দেক যখন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’

সাব্বির রহমানের নামটা পাকাই ছিল। সাত নম্বরে নেমে তেড়েফুঁড়ে ব্যাটিং করার ক্ষমতা যে বাংলাদেশের খুব বেশি ক্রিকেটারের নেই! কিন্তু হিসাব-নিকাশ এলোমেলো করে দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের ম্যাচ জয়ী বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। তাতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র ভূমিকায় উঠে এসেছেন দুই ‘সতীর্থ’ সাব্বির ও মোসাদ্দেক।
sabbir and mosaddek
ফাইল ছবি

সাব্বির রহমানের নামটা পাকাই ছিল। সাত নম্বরে নেমে তেড়েফুঁড়ে ব্যাটিং করার ক্ষমতা যে বাংলাদেশের খুব বেশি ক্রিকেটারের নেই! কিন্তু হিসাব-নিকাশ এলোমেলো করে দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের ম্যাচ জয়ী বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। তাতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র ভূমিকায় উঠে এসেছেন দুই ‘সতীর্থ’ সাব্বির ও মোসাদ্দেক।

সবশেষ ওই সিরিজে চার ম্যাচ খেললেও সবমিলিয়ে মাত্র দশ বল মোকাবেলা করার সুযোগ হয় সাব্বিরের। কারণ, তিনি মাঠে নামার আগেই জয়ের কাজটা প্রায় সেরে রেখেছিলেন বাকিরা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনালে নিষ্প্রভ ছিলেন সাব্বির। তিনে নেমে দুই বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আর সে ম্যাচেই বাজিমাত করেন মোসাদ্দেক। সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে গিয়ে ২৭ বলে ৫২ রান করেন তিনি। তার ওই অপরাজিত ইনিংসের কল্যাণেই প্রথমবারের মতো কোনো ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জেতার স্বাদ নেয় বাংলাদেশ।

এরপর থেকেই একটা চাপা গুঞ্জন, দলের একাদশের সাত নম্বর পজিশনে সবচেয়ে ‘উপযুক্ত’ হবেন কে? সাব্বিরের হার্ডহিটিংয়ের অতুলনীয় দক্ষতা নিয়ে দ্বিমত নেই। মোসাদ্দেকের বাড়তি গুণ- তার অফ স্পিন বোলিং। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে দুজনেরই মুখে কুলুপ আঁটা।

সাব্বির যেমন জানালেন লড়াইটা তার নিজের সঙ্গেই, ‘আমি সবসময় কঠিন পরিস্থিতিতে খেলেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এবারও ব্যতিক্রম কিছু হবে না। তবে আমি আমার সেরাটাই দেব। আমি সবসময় অনুভব করি, এটা আমার শেষ ম্যাচ। আর এই মানসিকতা নিয়েই আমি নিজেকে উজাড় করে দেই।’

বিশ্বকাপ তথা ক্রিকেটে দলীয় অর্জনই মুখ্য। তাই মোসাদ্দেকও একাদশে জায়গা করে নেওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানছেন বাংলাদেশ দলের সাফল্যকে, ‘আমি এটাকে সেভাবে (প্রতিদ্বন্দ্বিতা) দেখছি না। আমি আমার সর্বোচ্চটা করব। কেউ খারাপ খেলছে এই যুক্তিতে আমি দলে আসতে চাই না। আমার কাছে সবার আগে বাংলাদেশ দল। তবে যদি সুযোগ পাই, ভালো করার চেষ্টা করব।’

গতকাল (২৬ মে) কার্ডিফে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ায় অবশ্য দুজনেই হতাশ। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার জন্য ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারতো বলে একমতও তারা। তবে আত্মবিশ্বাস সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে পা রাখার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন সাব্বির-মোসাদ্দেকরা। আগামীকাল (২৮ মে) দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। একই ভেন্যুতে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়।

Comments

The Daily Star  | English
justice delayed due to fake cases

A curious tale of two cases

Two cases were filed over the killing of two men in the capital’s Jatrabari during the mass uprising that toppled the Awami League government.

16h ago