ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান
আর মাত্র কয়েকদিন পরই ক্রিকেটের আদিভূমি ইংল্যান্ডে বসতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। তবে শুরুর আগেই ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে বিরাজ করছে নানা ধরণের উত্তেজনা। পছন্দের দল নিয়ে নানা হিসেবে নিকেশ। ঘাঁটা হচ্ছে রেকর্ড বই। সে কারণেই দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন পাঠকদের জন্য বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হল...
১৯৯৯ বিশ্বকাপের প্রথমবার যোগ দিয়েই বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের আগমনী বার্তা জানিয়ে দিয়ে এসেছিল টাইগাররা। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে মোট ৩২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা, হেরেছে ২০টিতে এবং ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। জয়ের হার ৩৫.৪৮ শতাংশ।
১) বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্যটি পায় গেল বারই। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পেরেছিল টাইগাররা। এর আগে ২০০৭ সালে দ্বিতীয় সুপার এইটে খেলতে পেরেছিল তারা।
২) ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩২২ রান করেছিল বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ। রান তাড়াতেও এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
৩) ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা, এটাই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর।
৪) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। ২১ ম্যাচে ৩০.০০ গড়ে ৫৪০ রান করেছেন এ অলরাউন্ডার।
৫) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ২০১৫ সালে ১০৫ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। উইকেটের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়টি বারমুডার বিপক্ষে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছিল দলটি।
৬) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে অপরাজিত ১২৮ রান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংস।
৭) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মাত্র ২টি সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। সে দুটিই করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে সর্বোচ্চ ৫টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন সাকিব।
৮) বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডটিও মাহমুদউল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে মোট ৩৬৫ রান করেছিলেন তিনি।
৯) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। দুইজনই ৬টি করে ছক্কা মেরেছেন। তবে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি।
১০) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মাত্র তিনটি শতরানের জুটি গড়তে পেরেছেন। তিনটিই ২০১৫ সালে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর করা ১৪১ রানের জুটিটি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ।
১১) ব্যাটিংয়ের মতো বল হাতেও বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব। তিন আসর খেলে ৩৫.৩৮ গড়ে মোট ২৩টি উইকেট নিয়েছেন এ অলরাউন্ডার।
১২) বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি বোলারই পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেননি। ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ রানের খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম। যেটা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা।
১৩) এক আসরে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের। ২০০৭ বিশ্বকাপে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন এ স্পিনার।
১৪) বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক মুশফিকুর রহিম। তিনটি বিশ্বকাপ খেলে মোট ১৮টি ডিসমিসাল করেছেন তিনি।
১৫) বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিকও মুশফিক। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪টি ডিসমিসাল করেছিলেন এ উইকেটরক্ষক।
১৬) ২০১৫ বিশ্বকাপে ৮টি ডিসমিসাল করেন মুশফিক, যা এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ।
১৭) বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তিনটি বিশ্বকাপ খেলে মোট ৯টি ক্যাচ ধরেছেন তিনি।
১৮) ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪য়ি ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার।
Comments